এখন বাংলাদেশের পেস বোলিং ইতিহাসের সোনালী যুগ চলছে। আগে টাইগারদের বোলিং ইউনিটে ভরসার নাম ছিল স্পিনাররা। সেই আস্থার জায়গা এখন নিয়ে নিয়েছে পেসাররা। বর্তমানে বাংলাদেশের বোলিং ইউনিট সাজানো হয় পেসারদের নিয়ে। সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিমরা মাঠে নামে তিন পেসারদের নিয়ে, যেটা আগে ছিল স্বপ্নের মত। সেটা এখন বাস্তবে ধরা দিয়েছে বাংলাদেশের বোলিং কোচ অ্যালেন ডোনান্ডের হাত ধরে। টাইগারদের বোলিং ইউনিট মুগ্ধ করেছে শ্রীলঙ্কান কোচ সিলভারউডকে। তার কাছে বেশি ভালো লেগেছে পেসারদের।
২০১৯ বিশ্বকাপের পর থেকে সারাবিশ্বে আলাদা করে নজর কেড়েছে বাংলাদেশের পেস বোলিং ইউনিট। পাকিস্তানের বোলারদের পরেই বাংলার পেসাররা বেশি দাপট দেখিয়েছে বিগত চার বছরে। এমন প্রতিপক্ষকে সমীহ করতে চাইবেন প্রতিপক্ষ-এটাই স্বাভাবিক। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের আগে লঙ্কান কোচ সিলভারউড বাংলাদেশের পেসারদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। সিলভারউড বলেন, “আমি তাদের বোলিং ইউনিট নিয়ে মুগ্ধ, বিশেষ করে পেসাররা। তারা শক্তিশালী, নিখুঁত এবং উইকেট থেকে মুভমেন্ট আদায় করে নেয়।”
এশিয়া কাপে লঙ্কানদের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে প্রথম ম্যাচে দেখা হয়েছিল বাংলাদেশের। সেই ম্যাচে ব্যাটিংয়ে ভালো করতে না পারলেও বোলাররা আলো ছড়িয়েছিলেন। অল্প পুঁজিতেও ভালো বল করেছিলেন তারা। সে ম্যাচে ২০০ পেরুনোর আগেই গুটিয়ে যায় বাংলার ব্যাটাররা। তবে এমন প্রতিপক্ষকেও সম্মান জানাতে ভুললেন না সিলভারউড।
লঙ্কান কোচ বলেন, “বাংলাদেশের ব্যাটিং দৃষ্টিকোণ থেকে যদি বলি তবে তাদেরকে চাপে রাখতে হবে। এটা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা জানি তারা রান পায়নি কিন্তু এও জানি তারা সামর্থ্যবান। তাদেরকে এতোটুকু সম্মান দিতেই হবে। চাপে রাখতে হবে এবং উইকেট তুলে নিতে হবে। আমরা প্রতিটি বোলার এবং ব্যাটসম্যানকে নিয়ে আলাদা করে পরিকল্পনা করি।”
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ৩টায় এশিয়া কাপের সুপার ফোরে আরও একবার বাঁচা-মরার লড়াইয়ে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে এর আগে এমন পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানকে ৮৯ রানে হারিয়ে সুপার ফোরে জায়গা করে নেয় টাইগাররা। শনিবারের ম্যাচে লঙ্কানদের হারিয়ে টিকে থাকবে এশিয়া কাপে এমটাই প্রত্যাশা থাকবে বাংলার ক্রিকেট ভক্তদের।