ইফতিখার আহমেদের ঝড়ো ফিফটি ও সাকিব আল হাসানের ক্যামিওতে ১৭৩ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছিল ফরচুন বরিশাল। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নাসির হোসেন ও মোহাম্ম মিঠুনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে জয়ের সম্ভবনা উঁকি দিয়েছিল ঢাকা শিবিরে।
তবে শেষদিকে বরিশালের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত আর পেরে ওঠেনি ঢাকা। ব্যাট হাতে ঢাকা অধিনায়ক নাসির হোসেন ফিফটি পেলেও সেটা শুধু হারের ব্যবধানই কমাতে পেরেছে। শেষ পর্যন্ত ঢাকাকে ১৩ রানের ব্যবধানে হারিয়ে আসরে পঞ্চম জয় নিশ্চিত করেছে বরিশাল।
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১৭ রানের ভেতরই হারিয়ে ফেলে দুই ওপেনারকে হারায় বরিশাল। সাইফ হাসান ফেরেন ব্যক্তিগত ১০ রানে আর এনামুল হক বিজয়ের ব্যাট থেকে আসে ৬ রান।
এরপর মেহেদী হাসান মিরাজ ও চতুরঙ্গা ডি সিলভাও দ্রুত ফিরলে বিপদে পড়ে বরিশাল। কিন্তু অন্যপ্রান্তে সাকিব আল হাসান ঠিকই ঝড় চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তাতে আড়ালে পড়ে যাচ্ছিল দ্রুত চার উইকেট হারানোর বিষয়টা।
তবে এদিন ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৭ বলে ৪ চার ও ১ ছয়ে ৩০ রান করা সাকিবকে বোল্ড করেন ঢাকা পেসার মুক্তার আলি।
সাকিবের বিদায়ের পর ব্যাট হাতে আরও একবার সাগরিকায় ঝড় তোলেন বরিশালের ব্যাটার ইফতিখার আহমেদ। ৩৪ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৫৬ রান করে বরিশালকে এনে দেন বড় সংগ্রহ।
এ সময়ে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। টানা দুই ম্যাচে খালি হাতে ফেরা রিয়াদের ব্যাট থেকে এদিন এসেছে ৩১ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় কেবল ৩৫ রানের ইনিংস। তাদের দু’জনের ৮৪ রানের জুটিতে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭৩ রানে থামে বরিশালের ইনিংস।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সৌম্য সরকার ও উসমান গণির ওপেনিং জুটিতে ঢাকার স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছিল ৪৬ রান। উসমান ২ চার ও ৩ ছক্কায় ১৯ বলে ৩০ রান করে ফিরলে ভাঙে তাদের জুটি।
এদিকে সৌম্য সরকার আরও একবার ব্যর্থ। ফিরেছেন ১ চার ও ছক্কায় ১৫ বলে ১৬ রানে। এরপর দ্রুত ফিরে যান ইমরানও, তার ব্যাট থেকে আসে ৮ বলে ৩ রান।
এরপর ১৩ রানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারানো ঢাকাকে টেনে তোলেন অধিনায়ক নাসির ও মিঠুন। দলীয় ১৪৮ রানে মিঠুন ফিরলে ভাঙে তাদের ৮৯ রানের জুটি। ফেরার আগে মিঠুনের ব্যাট থেকে এসেছে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৮ বলে ৪৭ রান।
মিঠুন ফিরলেও নাসির ছিলেন শেষ পর্যন্ত। যদিও তার ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৬ বলে ৫৪ রান শেষ পর্যন্ত ঢাকাকে জেতাতে পারেনি। ১৩ রানের ব্যবধানে হার নিয়েই মাঠ ছাড়ে তারা।