ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ মুখোমুখি লড়াইয়ে নেমেছিল। ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ।
টস জিতে বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। শুরুতে দলের মাত্র ৭ রানে দীর্ঘদিন দলের বাইরে থাকা সৌম্য সরকারের উইকেটের পতন ঘটে। দলের ৪১ রানে নাজমুল হাসান শান্তর (১২) উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর দলের হাল ধরেন লিটন দাস। দলীয় অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে তিনি দলের স্কোর শতরান পার করেন। স্কোরবোর্ডে ১২৯ রান জমা করে লিটন ব্যক্তিগত ৬৯ রানে ফেরেন। ৪২ বল খরচায় এই ইনিংসে ছয়টি ৪ ও দুটি ৬ মারেন।
ইনিংসে লম্বা সময় পর চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে দলের অধিনায়ক বিদায় হলে। সাকিব ৪২ বলে ৬৮ রান করেন। তার ইনিংস সাতটি ৪ ও তিনটি ছয়ে সাজানো।
সাকিবের বিদায়ের পর তিন রান যোগ হতেই পরপর দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ইয়াসির আলী ও আফিফ হোসেন ধ্রুব। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের ইনিংস থামে ৬ উইকেটে ১৭৩ রানে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের প্রথম উইকেট জুটিই শতরান পার করে। মোহাম্মদ রিজওয়ান ও অধিনায়ক বাবর আজমের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে দলের ১০১ রানে। বাবর ৪০ বলে ৫৫ রান করে বিদায় হন। তিনি ইনিংসে নয়টি চার মারেন। দলের একই রানে হায়দার আলীকেও বিদায় করে বাংলাদেশ। এরপর মোহাম্মদ নেওয়াজকে সঙ্গে নিয়ে হাল ধরেন রিজওয়ান। মূলত এই জুটিই দলের জয় নিশ্চিত করে ফেলেন।
দলের ১৬৫ রানে রিজওয়ান ব্যক্তিগত ৬৯ রানে আউট হন। আসিফ আলিকে সঙ্গে নিয়ে বাকি কাজটুকু সারেন নেওয়াজ। তার ব্যাট থেকে আসে ২০ বলে ৪৫ রান। ১৯.৫ ওভারে ১ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে জয় পায় পাকিস্তান।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আগের ম্যাচ হেরেই টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠার পথ বন্ধ হয়ে গেছে বাংলাদেশের। পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরে টানা চার ম্যাচ হারার তিক্ত স্বাদ নিয়ে শূন্য হাতেই ফিরতে হচ্ছে টাইগারদের।