বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দল পেয়েছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার প্রীতম কুমার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো আলোচনা ছাড়াই এই তরুণের দল পাওয়াটা অনেক ক্রিকেটপ্রেমীদের করেছে অবাক। অথচ ঘরোয়া ক্রিকেটে সর্বশেষ এক-দুই মৌসুম ধরে আলোচনায় আছেন প্রীতম। বিপিএলে দল পাওয়া বেশি খুশি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
বিপিএলের আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) ১০ম আসরে ইসলামি ব্যাংক ইস্ট জোনের জার্সিতে খেলেছেন প্রীতম। সেখানে অধিনায়ক হিসেবে পেয়েছিলেন তামিম ইকবালকে। বিপিএলে খুলনা টাইগার্সে হয়তো তামিমের অধিনায়কত্বেই দেখা যাবে।
বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়কের নেতৃত্বে খেলার অনুভূতি কী রকম তা সংবাদ প্রকাশকে জানিয়েছেন প্রীতম। তিনি বলেন, “ভালোই লাগতেছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো তাদের (তামিমসহ সিনিয়র ক্রিকেটার) সাথে ড্রেসিং রুম শেয়ার করতে পারতেছি। আরও বড় বড় খেলোয়াড় (বিদেশি ক্রিকেটার) আসতেছে। (ড্রেসিংরুম) শেয়ার করবো, সবকিছু মিলিয়ে অনেক কিছু শেখার আছে।”
সদ্য শেষ হওয়া হওয়া বিসিএলে মনমতো পারফর্ম করতে না পারলেও প্রিয় ক্রিকেটারের সঙ্গে ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করার অভিজ্ঞতা হয়েছে তার। এই বিষয়ে প্রীতমের ভাষ্য, “খুব একটা ভালো না (বিসিএলের ওয়ানডে ফরম্যাট), তবে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি।”
উইকেটরক্ষক ব্যাটার হওয়ায় প্রীতমের অনুপ্রেরনা মিস্টার ডিপেন্ডঅ্যাবল খ্যাত মুশফিকুর রহিম। দেশের বাইরে কুইন্টন ডি কককেও মানেন আদর্শ। প্রীতম বলেন, “দেশের ভেতরর প্রিয় ক্রিকেটার মুশফিক। আর দেশের বাইরে কুইন্টন ডি কক।”
জাতীয় লিগে রাজশাহীর হয়ে প্রতিযোগীতামূলক ক্রিকেটে নাম লেখান প্রীতম কুমার। সেই সময়ই নজরে পড়েন বাংলাদেশের ক্রিকেটের এক সময়কার পোস্টার বয় মোহাম্মদ আশরাফুলের। অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করার অভিজ্ঞতাও পেয়েছেন ইতোমধ্যেই। তার চেয়ে বড় বিষয়, প্রীতমের প্রশংসায় সবসময়ই পঞ্চমুখ এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।
আশরাফুলের কাছে পাওয়া এই প্রশংসা প্রীতমের জন্য অনুপ্রেরণার। এমনটা জানিয়ে প্রীতম সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “আসলে উনি তো অনেক বড় মাপের প্লেয়ার। ওনারা যখন এইভাবে বলে জিনিসটা নিজের উৎসাহ বাড়িয়ে দেয়। তার সাথে আমার ব্যাক লিফট নিয়ে কথা হয়েছে। সর্বশেষ বিসিএলের টেস্ট ভার্সনে (প্রথম শ্রেণির ম্যাচ) এক সঙ্গে খেলছি। জিজ্ঞাসা করতেছিল কিভাবে কী করি। ওই সময় ওনার কাছ থেকে অনেক টিপস পেয়েছে।”
বন্ধুর দেখাদেখি ক্রিকেট একাডেমিতে ভর্তি হওয়া প্রীতমের লক্ষ্য এখন ধীরে ধীরে আগানো। নিজেকে পরিপূর্ণ প্রস্তুত করেই তবে জাতীয় দলের জার্সিতে দেখতে চান। কীভাবে ক্রিকেটে আসা ও লক্ষ্য কী তা নিয়েও কথা বলেছেন সংবাদ প্রকাশের সঙ্গে।
প্রীতম বলেন, “২০১২ সালে আমার এক বন্ধুর দেখা দেখি ক্রিকেট একাডেমিতে ভর্তি হই। এরপরে অনূর্ধ্ব ১৪ খেলি। ২০১৫ সালে রাজশাহীতে বাংলা ট্রাকে ভর্তি হই। সেখান থেকে অনূর্ধ্ব ১৫,অনূর্ধ্ব ১৬ ও অনূর্ধ্ব ১৯ খেলি।”
তিনি আরও যোগ করেন, “বিশ্বকাপে (অনূর্ধ্ব ১৯) খেলতে পারি নাই, খারাপ ফর্মের কারণে। এরপর জাতীয় লিগে সুযোগ আসে। রাজশাহী বিভাগীয় দলে। প্রথম দুই তিনটা ম্যাচ খুব একটা ভালো করতে পারি নাই। পরে আরকি আস্তে আস্তে হচ্ছে। প্রিমিয়ারে (ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ) খেললাম।”
নিজের ভবিষ্যত নিয়ে প্রীতমের ভাষ্য, “এখনও এতোদূর চিন্তা করি নাই। অবশ্যই লক্ষ্য আছে ভালো খেলার। আমি স্টেপ বাই স্টেপ আগাতে চাই।”
