সুখের ঘরে অশান্তির সুর! দূর থেকে পাকিস্তান দলকে দেখলে মনে হবে সবাই রয়েছে মিলে মিশে। তবে, তাদের সুখের ঘরে পড়েছে কুনজর। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সুপার ফোরের অলেখিত সেমিফাইনালে হেরে বিদায় নিয়েছে বাবর আজমরা। এরপরই দলটির ড্রেসিংরুমের ঝামেলার খবর ওঠে এসছে। ভারতীয় শীর্ষস্থানী সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়, পাক অধিনায়ক বাবর আজমের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেন না দলের কয়েকজন ক্রিকেটার। শুধু শ্রীলঙ্কার কাছে হারার পরই নয়, গোটা টুর্নামেন্টে তাদের ড্রেসিংরুমে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে।
এ নিয়ে মুখ খুলেছেন পাকিস্তানের সাবেক উইকেটরক্ষক-ব্যাটার মঈন খান। জিও টিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মঈন বলেন, “পাকিস্তান দলের সমস্যা থাকতে পারে। তবে তা বিশ্বকাপের আগে ঠিক করে নেয়া দরকার। সমস্যা মিটে গেলে দল আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। “
সাবেক এই উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান বলেন, “ড্রেসিংরুমের বিবাদ মিডিয়ায় চলে আসছে তা দলের জন্য মোটেই ভালো খবর নয়। ক্রিকেটারদের বাবরের সঙ্গে সমস্যা থাকতে পারে। প্রধান কোচ বা টিম ডিরেক্টরের অনুপস্থিতিতে বাবর যদি কোনও সমস্যার সঠিক সমাধান না করতে পারে তাহলে সেটা খুব দুর্ভাগ্যজনক। কারণ এ ধরনের বিষয়য়ে হস্তক্ষেপ করা অধিনায়কেরই কাজ।”
সমস্যা কাটিয়ে ওঠার উপায়ও বলে দিয়েছেন পাক কিংবদন্তি, “সমস্যা কাটিয়ে উঠতে নিজেদের মধ্যে ড্রেসিংরুমে কথা বলতে হবে। কোনও ক্রিকেটার খারাপ পারফরম্যান্স করলে তার দিকে কড়া চোখে তাকাবে অধিনায়ক। তাকে ধমকাবে-এটাই স্বাভাবিক। তবে পরে শান্তভাবে ওকে বোঝাতে হবে আরও ভালো পারফর্ম করতে হবে। দল তার কাছ থেকে কি চায়, সেটা জানাতে হবে।”
সাবেক এই ক্রিকেটার বলেন, “কিন্তু বাজে পারফরম করা ক্রিকেটারকে গুরুত্ব না দিয়ে কথা বললে সে ভাববে তাকে নিয়ে মজা করা হচ্ছে। সবারই একটা ইগো আছে। বাবরকে এই ম্যানেজমেন্টের বিষয়ে আরও চৌকস হতে হবে।”
মঈন আরও বলেন, “এশিয়া কাপের ম্যাচে বিশেষ মুহূর্তেও কোনও ক্রিকেটার বাবরের দিকে যায়নি। রিজওয়ানও এগিয়ে আসেনি। এমনকি সহঅধিনায়কও তার কাছে আসেনি। মনে হচ্ছিল, সবাই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। দলের মধ্যে ভাঙন ধরেছে। কোনও ঐক্য নেই।”
                
              
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    


































