দুই দিন ধরে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দুর্নীতি দমন কমিশনে দেখা যাচ্ছে। মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগকে দেখা যায়। এরপর বুধবার (৯ আগস্ট) বাফুফের নারী কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণও দুদকে গিয়েছিলেন। বিভিন্ন আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ থাকার কারণে তাকে দুদক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল।
বুধবার দুপুরে দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত হন কিরণ। তার বিরুদ্ধে দুদকের কাছে বেগম আনোয়ারা স্পোটিং অভিযোগ দেয়। সেই অভিযোগে ফুটবলের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে অর্থ পাচার, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ফ্লাট তৈরি এবং সম্পদের পাহাড় গড়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়।
দুদক থেকে বের হয়ে এসে বাফুফের নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান তার দুদকে আসার কারণ ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, “বেগম আনোয়ারা স্পোর্টিং ক্লাব আমার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ করেছে। এর প্রেক্ষিতে আমাকে ডাকা হয়েছিল। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে এসেছি। এফআইবি নামে বাফুফের একটা কমিটি আছে। তারা কাগজপত্র পর্যালোচনা করে ক্লাবটাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল।”
অর্থিক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ এই বাফুফে কর্তার বিরুদ্ধে এবারই প্রথম না। এর আগেও ২০২১ সালে দুদকে তার নামে এমন অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল। তখন সেই অভিযোগে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হন।