ব্যাটিং বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার বার্তা দিচ্ছিল নাজমুল শান্ত ও তাওহীদ হৃদয়। ধীরে ধীরে জুটিটাও মজবুত করে ফেলছিলেন তারা। কিন্তু সুখ সইল না বাংলাদেশের। পথ হারালেন তাওহীদ হৃদয়। নাজমুল হোসেন শান্ত অর্ধশতক করার পরই সাজঘরে ফিরেন তিনি। প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৮ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রান।
এরআগে, টস জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের হয়ে শুরুটা করেন অভিষিক্ত তানজিদ হাসান তামিম ও নাঈম শেখ। তবে বাংলাদেশের সেই চিরচেনা ওপেনিং ব্যর্থতা দেখা মিলল আবারও। দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলেই উইকেট হারায় টাইগাররা। নিজের অভিষেকটা রাঙাতে পারেননি তামিম। নামের পাশে কোনো রান যোগ করার আগেই মহীশ তিকশানার বলে এল বি ডাব্লিই হয়ে ফিরেন তিনি। তামিম যখন আউট হন বাংলাদেশের রান তখন ৪।
এরপর নাজমুল শান্তর সঙ্গে দেখে শুনে ব্যাট করতে থাকেন নাঈম শেখ। তবে আবারও ব্যাট হাতে ব্যর্থ নাঈম। ব্যক্তিগত ১৬ রানে বিদায় নেন তিনি। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়ে বড় শট খেলতে গিয়েছিলেন নাঈম, তবে নিয়ন্ত্রণ ছিল না কোনোই। আউটসাইড-এজে ক্যাচ গেছে শর্ট থার্ডম্যানে। অষ্টম ওভারে বাংলাদেশ হারিয়েছে দ্বিতীয় উইকেট। দলীয় রান তখন ২৫।
বেশিদুর যেতে পারেননি অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও। মাতিশা পাতিরানার অফ স্টাম্পের বাইরের বাড়তি বাউন্সের বলে কাট করতে চেয়েছিলেন সাকিব। তবে শট খেলে ফেলেন আগেভাগেই। আউটসাইড-এজ যায় উইকেটের পেছনে, কুশল মেন্ডিস লুফে নেন দারুণ একটা ক্যাচ। ৫ রান করে সাকিব যখন বিদায় নেন তখন দলীয় রান ৩৬।
সাকিব ফেরার পর বেশ চাপে ছিল বাংলাদেশ। নাজমুল ও হৃদয়ের জুটি নিশ্চিতভাবেই স্বস্তির তাই। ২৩তম ওভারে দুজনের জুটিতে উঠল ৫০ রান, লেগেছে ৭০ বল। শান্ত নিজেকে শান্ত রেখে তুলে নেন অর্ধশতক। শা নাকার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে কাট করে চার, তাতেই ফিফটি হয়ে গেল নাজমুলের। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এ বাঁহাতির এটি চতুর্থ ফিফটি।
তার ফিফটির পরিই ভাঙে এই জুটি। হৃদয়কে ফেরান লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন সানাকা। ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে শানাকাকে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে যান হৃদয়, শ্রীলঙ্কার জোরাল আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। শ্রীলঙ্কা নেয় রিভিউ। আর তাতেই সফল হয়েছে তারা। হৃদয়ের আউটে ভাঙল নাজমুলের সঙ্গে ৫৯ রানের জুটি। বাংলাদেশ চতুর্থ উইকেট হারিয়েছে দলীয় ৯৫ রানে। হৃদয় প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে করেন ২০ রান।