• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

রেকর্ড গাঁথা ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বড় জয়


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২৩, ১২:৩৫ এএম
রেকর্ড গাঁথা ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বড় জয়
ছবি : সংগৃহীত

রেকর্ড গাঁথা ম্যাচে জয় দিয়ে বিশ্বকাপের শুভসূচনা করল দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বমঞ্চে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১০২ রানে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ম্যাচে রেকর্ডের ফুলঝুড়ি ছুটে ছিল। এদিন আগে ব্যাট করে প্রোটিয়া তিন ব্যাটারের সেঞ্চুরির কল্যাণে নির্ধারিত ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ৪২৮ রান স্কোরবোর্ডে জড়ো করে তারা। জবাবে পাহাড়সমূহ রানের টার্গেটে ৪৪ ওভার ৫ বলে ৩২৬ রান তুলেই গুটিয়ে যায় লঙ্কানদের ইনিংস।  

দক্ষিণ আফ্রিকার করা ৪২৮ রানটি বিশ্বকাপের দলীয় সর্বোচ্চ রানের সংগ্রহ। এছাড়াও ম্যাচটিতে দুই দল মিলে রান করেছে ৭৫৪ যা বিশ্বকাপে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। এর আগে গত বিশ্বকাপে বাংলাদেশে-অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচে ৭১৪ রান উঠে ছিল। যা ছিল এতোদিন এক ম্যাচে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। এরপর প্রোটিয়া তিন ব্যাটার ব্যক্তিগত ইনিংস তিন অঙ্কে নিয়ে যান। যেটা বিশ্বকাপের ইতিহাসে এক ইনিংসে তিন ব্যাটারের সেঞ্চুরি প্রথম। এছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাটার এইডেন মার্করাম ৪৯ বলে শতরান করে বিশ্বকাপের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন। 

বিশ্বকাপের দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ফিরোজ শাহ কোটলায় টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে প্রোটিয়ারা। এদিন ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করেতে পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে দিলশান মাদুশঙ্কার বলে এলবিডব্লু হয়ে প্যাভিলিয়ানে ফিরে যান। অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ৫ বলে ২ চারে ৮ রান।

বাভুমার বিদায়ের পর দ্বিতীয় উইকেটে রাসি ডুসেনের সঙ্গে জুটি গড়েন কুইন্টন ডি কক। এই জুটির সামনে লঙ্কান বোলাররা অসহায় হয়ে পড়েন। ডি কক-ডুসেন ১৭৪ বলে ২০৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। এই জুটি ভাঙে ডি ককের বিদায়ে। প্রোটিয়া ওপেনার মাথিশা পাথিরানার বলে বিদায় নেওয়ার আগে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ১৮তম সেঞ্চুরি। ডি ককের ৮৪ বলে ১০০ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১২ চার ও ৩ ছক্কায়।
এই ওপেনার ফেরার পর অন্যপ্রান্তে পঞ্চম সেঞ্চুরির অপেক্ষায় ছিলেন ডুসেন। তিনি অবশ্য সেঞ্চুরি করার পর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ১১০ বলে ১০৮ রান করে ফেরেন ডুসেন।

অপরপ্রান্তে থাকা এইডেন মার্করাম ব্যাটিংয়ে চালায় তান্ডব। মার্করাম বিশ্বকাপের ইতিহাসে ৫০ বলে দ্রুততম সেঞ্চুরি তুলে নেন।  তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছানের পর মার্করাম থেমেছেন ১০৬ রানে। ১৯৬ স্ট্রাইকরেটে ৫৪ বলে ইনিংসটি সাজান ১৪ চার ও ৩ ছক্কায়। শেষদিকে ডেভিড মিলারের ২১ অপরাজিত ৩৯ রান ও মার্কো জ্যানসনের অপরাজিত ১২ রানের কল্যানে লঙ্কানদের ৪২৯ রানের পাহাড়সূমহ রানের টার্গেট দেন। লঙ্কানদের হয়ে বল হাতে ৮৬ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেন মাদুশাঙ্কা।

প্রোটিয়াদের দেওয়া ৪২৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে পাথুম নিশাঙ্কা রানের খাতা না খুলতেই বিদায় নেন। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকাকে ইটের জবাব পাটকেল দিতে থাকেন কুশল মেন্ডিস। দলীয় যখন ৫৪ রান তখন মেন্ডিসের ব্যক্তিগত রান ৫১। তবে মেন্ডিস ঝড় বেশি লম্বা হয়নি। ৪২ বলে ৭৬ রান করে থেমে যায়। তার ঝড়ো ইনিংসটিতে ৪ চার ও ৮ ছক্কায় সাজানো ছিল।

এরপর চারিথ আসালাঙ্কা ও অধিনায়ক দাসুন শানাকাও চেষ্টা করেছেন পাহাড়সমূহ রান টপকাতে। কিন্তু আসালাঙ্কার ৭৯ ও অধিনায়কে ৬৮ রান শুধু হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। শেষদিকে কাসুন রাজিথার ৩৩ রানের সুবাদে লঙ্কানরা ৩০০ রান ছাড়ায়। প্রোটিয়াদের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন মার্কো ইয়ানসেন, কেশভ মহারাজ, কাগিসো রাবাদা। জেরাল্ড কোয়েটজি ৬৮ রান দিয়ে শিকার করেন তিনটি।

Link copied!