• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫

মিরাজ-শান্তর সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের পুঁজি ৩৩৪


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৩, ০৭:২৯ পিএম
মিরাজ-শান্তর সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের পুঁজি ৩৩৪
মিরাজ-শান্তর জুটি। ছবি : সংগৃহীত

এশিয়া কাপের বাঁচা মরার লড়াইয়ে আফগানিস্তানকে বড় লক্ষ্য ছুড়ে দিল বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত ও মেহেদি হাসান মিরাজের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৩৩৪ রান করে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে দলীয় সর্বোচ্চ রানের নতুন রেকর্ড গড়ার পাশাপাশি এশিয়া কাপেও এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর। এর আগে, ২০১৪ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপে সর্বোচ্চ ৩২৬ রান করেছিল টাইগাররা।

মিরাজ- হৃদয় দুই জনকে নিয়ে জুয়া খেলে বাংলাদেশ। মিরাজে সফল হলেও ব্যর্থ হৃদয়ের জায়গায়। লাহোরে টস জিতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে এশিয়া কাপের ফাইনালে প্রথমবারের মতো ওপেনিংয়ে নামেন মেহেদি মিরাজ। এবার দ্বিতীয়বারের মতো ওপেনিংয়ে নামেন তিনি। নতুন সঙ্গী পেয়ে নাঈমও যেন হাত খুলে মারার আত্মবিশ্বাস পেলেন।

শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ছিলেন নাঈম। শুরুতে খোলসবন্দি থাকলেও পরে হাত খোলা শুরু করেন মিরাজ। কিন্তু নাঈমের বিদায়ে এই জুটি ভাঙে। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে মুজিব তাকে দারুণ এক স্পিনে পরাস্ত করেন। দলের রান তখন ৬০। ৩২ বলে ৫ চারে ২৮ রান করা নাঈম ফিরেছেন বোল্ড হয়ে।

উইকেটে থিতু হবার আগেই ফেরেন হৃদয়। ১১তম ওভারে গুলবদিন নাঈবের তৃতীয় বলে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন তাওহিদ হৃদয়। তিনি রানের খাতাই খুলতে পারেননি। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচটি নিয়েছেন হাশমতউল্লাহ শহীদি।

 

এরপর রূপকথার গল্প। মিরাজ-শান্তর কাব্যিক এক ব্যাটিং। দুজনেই তুলে নেন ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় শতক। গড়ে তুলেন ১৯৪ রানের জুটি। শেষ পর্যন্ত হাতে ব্যথা নিয়ে মিরাজ মাঠ ছাড়লে ভাঙে সেই জুটি। ১১৯ বলে ১১২ রান করে শেষ পর্যন্ত রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন মিরাজ।

 বন্ধুর বিদায়ের পর শান্তও ফেরেন দ্রুত। ১০৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে রান আউট হন তিনি। ৯ চার ও ২ ছয়ের ইনিংসে স্ট্রাইক রেটও ছিল দারুণ।

 শান্ত-মিরাজের বিদায়ের পর হাল ধরেন মুশফিক সাকিব। দুজনেই খেলেন গুরুত্বপূর্ণ দুই ক্যামিও ইনিংস। রান আউট হওয়ার আগে ১৫ বলে ২৫ রান করেন মুশফিক। সাকিবের ব্যাট থেকে আসে ১৮ বলে ৩২ রান। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন টাইগার অধিনায়ক।

ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়েছেন শামীম পাটোয়ারী। ৬ বলে ১১ রান করে রান আউট হয়েছেন তিনি। ৩ বলে ৪ রান করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন আফিফ। আফগানদের হয়ে একটি করে উইকেট নেন গুলবাদিন নাইব ও মুজিবর রহমান।

Link copied!