এবারের বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের সেমিফাইনাল খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তাদের জয় ছাড়া কোনো বিকল্প ছিল না। তবে তাদের আশা বাঁচিয়ে রাখতে পেরেছে। ডাচদের ৭ উইকেটে হারিয়ে ৮ পয়েন্টে নিয়ে সেমির রেসে থাকা দলগুলোর কাঁধে নিশ্বাস ফেলছে আফগানরা।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নেদারল্যান্ডসের টপ অর্ডারের চার ব্যাটার রান-আউটে কাটা পরলে ৪৬ ওভার ৩ বলে ১৭৯ রান তুলে ডাচরা গুটিয়ে যায়। কমলাদের দেওয়া ১৮০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আফগানরা ৩১ ওভার ৩ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রান তোলে। এতেই হাশমতউল্লাহ শহীদির দল ১১১ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে পয়েন্ট তালিকার পাঁচে উঠে এসেছে।
নেদারল্যান্ডসের দেওয়া সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আফগানিস্তানের দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১০ রান করে শুরুতেই ভ্যান বিকের শিকার হয়েছেন গুরবাজ। এরপর আরেক ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান ৩৪ বলে ২০ রান করে ফিরে গিয়েছেন। এরপর রহমত শাহকে সঙ্গে নিয়ে আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদি ৭৭ বলে ৭৪ রানের জুটি গড়েন। রহমত শাহ ৫৪ বলে ৮ চারে ৫২ রান করে বিদায় নিলে এই জুটি ভাঙে।
তৃতীয় উইকেটে আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে সঙ্গে নিয়ে বাকি কাজটুকু সম্পন্ন করেন আফগান অধিনায়ক। এই জুটি থেকে আগান স্কোরবোর্ডে যোগ হয় ৫৩ বলে ৫২ রান। দুইজনেই অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। হাশমতউল্লাহ ৬৪ বলে ৬ চারে ৫৬* রান করেন আর ওমরজায়ের ব্যাট থেকে আসে ২৮ বলে ৩ চারে ৩১ রান।
এর আগে, লক্ষ্মৌতে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে আফগানিস্তানকে প্রথম ওভারেই ব্রেক থ্রু এনে দেন স্পিনার মুজিব উর রাহমান। নেদারল্যান্ডস ওপেনার ওয়েসলি বারেসিকে লেগ বিফরের ফাঁদে ফেলে বিদায় করেন তিনি। বারেসিকে ১ রানে প্যাভিলিয়ানের পথ দেখিয়ে নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১০০তম উইকেট শিকার করে নেন।
ইনিংসের প্রথম ওভারে ৩ রানেই এক উইকেট হারানো নেদারল্যান্ডস দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায়। দ্বিতীয় উইকেটে ওপেনার ম্যাক্স ওডাউড ও কলিন অ্যাকারম্যান মিলে গড়েন ৭০ রানের জুটি। হাফ সেঞ্চুরির পথে ছিলেন ম্যাক্স। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ ২ রান নিতে গিয়ে ডিরেক্ট হিটে তার স্টাম্প ভাঙেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। রান আউটে কাটা পড়ার আগে ম্যাক্স ৪০ বলে ৯ চারে ৪২ রান করেন।
ম্যাক্সের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন অভিজ্ঞ ব্যাটার কলিন অ্যাকারম্যান। তিনি ক্রিজে এসে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেনি। ইনিংসের ১৯তম ওভারের তৃতীয় বল মিড অফে ফিল্ডারের হাতে ঠেলে দিয়ে তিনি দৌড় দেন। এরপর রশিদ ও উইকেটকিপার ইকরাম আলি খিল মিলে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান ২৯ রানে থাকা অ্যাকারম্যানকে। এই ব্যাটারের আউটের ১ বল পরেই আবারও রান আউট। এবার ডাচ ব্যাটিং লাইন-আপের মূলস্তম্ভ অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস রানের খাতা খোলার আগেই রান-আউটে কাটা পড়েন।
অধিনায়কের বিদায়ের পর বাস ডি লিডি ৩ রান করে ফিরে গিয়েছেন মোহম্মাদ নবির শিকার হয়ে। বাসের বিদায়ে ১০০ রানের আগেই ডাচরা হারায় পাঁচ উইকেট। তবে অপরপ্রান্তে তখনও লড়ছিলেন এঙ্গেলব্রেখ্ট। শেষ পর্যন্ত ৮৬ বলে ৬টি চারের বাউন্ডারিতে ৫৮ করে তিনিও রানআউট। এছাড়া তাদের আর কোনো ব্যাটারই উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারেনি। ফলে ৪৬ ওভার ৩ বলে ১৭৯ রানে থামে ডাচদের ইনিংস। আফগানদের হয়ে ২৮ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন নবি।
 
                
              
 
																 
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    





































