শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সিরিজ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। আজ মিরপুর শেরেবাংলায় সফরকারী দলকে ১৭৯ রানের বড় ব্যবধানে হারায় বাংলাদেশ। রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এটিই সবচেয়ে বড় জয় বাংলাদেশের। আর সব মিলিয়ে দ্বিতীয় বড় জয় এটি। বাংলাদেশের বড় জয়টি ছিল ১৮৩ রানের। ২০২৩ সালে আইরিশদের বিপক্ষে বাংলাদেশ জিতেছিল ১৮৩ রানে।
মিরপুরে জয়ের ভিতটা গড়ে দিয়েছিলেন ব্যাটাররাই। বিশেষ করে দু্ই ওপেনার সৌম্য সরকার ও সাইফ হাসান। দুজনে ১৭৬ রানে জুটি গড়লে ৮ উইকেটে ২৯৬ রান তোলে বাংলাদেশ। লক্ষ্য তাড়ায় এসে বাংলাদেশের স্পিনারদের সামনে ৩০.১ ওভারে ১১৭ রানে অলআউট ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
মিরপুর শেরেবাংলার যে কালো উইকেটে প্রথম দুই ম্যাচে রানের জন্য যেখানে রীতিমতো লড়াই করতে হয়েছে ব্যাটারদের, সেখানে আজ ব্যাটের ফল্গুধারা বইয়ে দিয়েছেন দুই ওপেনার সৌম্য ও সাইফ। আড়াই বছরের অপেক্ষা ঘুচিয়ে ওপেনিংয়ে ৯৪৬ দিন ও ৪৬ ইনিংস পর শতরানের জুটি গড়েছেন তাঁরা। ১৫২ বলে ১৭৬ রানের জুটি তাঁরা গড়লে বড় স্কোরের ভিত পায় বাংলাদেশ। তবে সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে দুজনের কেউই সেঞ্চুরি পাননি। সৌম্য ৯১ ও সাইফ ৮০ রান করে আউট হয়েছেন। শান্ত করেছেন ৪৪ রান।
বাংলাদেশের তিন শ ছুঁই ছুঁই স্কোরের পরই বোঝা যাচ্ছিল জিততে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সেটাকে আরও স্পষ্ট করে তোলেন বাংলাদেশের স্পিনাররা। আগের ম্যাচে বিরুদ্ধে স্রোতে দাঁড়িয়ে বুক চিতিয়ে বাংলাদেশের স্পিনের বিপক্ষে লড়াই করেছিলেন শাই হোপ। ম্যাচ টাই করে সুপার ওভারে নিয়ে গিয়ে জিতিয়ে দিয়েছিলেন দলকে। কিন্তু শেষ ওয়ানডেতে না শাই হোপ না অন্য কেউ, স্বাগতিক স্পিন আক্রমণের সামনে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি। ফল—১১৭ রানে অলআউট।
ছয় ক্যারিবিয়ান ব্যাটার রানে দুই অঙ্ক ছুঁলেও একজনও ৩০ রানের বেশি তুলতে পারেননি। ইনিংস সর্বোচ্চ ২৭ করেছেন আকিল হোসেন। রিশাদ হোসেন ও নাসুম আহমেদ নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। এই তিন উইকেট নিয়ে সিরিজে রিশাদের উইকেট সংখ্যা ১২টি। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে যা বাংলাদেশের কোনো স্পিনারের বিপক্ষে সর্বোচ্চ। আগের সর্বোচ্চ ছিল আরাফাত সানির ১০ উইকেট, ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। স্বভাবতই সিরিজসেরা হয়েছেন রিশাদ। ম্যাচসেরা সৌম্য সরকার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৯৬/৮ (সৌম্য ৯১, সাইফ ৮০, নাজমুল ৪৪, হৃদয় ২৮; আকিল ৪/৪১, অ্যাথানেজ ২/৩৭, মোতি ১/৫৩, চেজ ১/৫৩)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৩০.১ ওভারে ১১৭ অলআউট (আকিল ২৭, কিং ১৮, অ্যাথানেজ ১৫, গ্রিভস ১৫, কার্টি ১৫; নাসুম ৩/১১, রিশাদ ৩/৫৪, তানভীর ২/১৬, মিরাজ ২/৩৫)।
ফল: বাংলাদেশ ১৭৯ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: সৌম্য সরকার।
ম্যান অব দ্য সিরিজ: রিশাদ হোসেন।
সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ ২–১ ব্যবধানে জয়ী।