• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫

হোয়াইটওয়াশই হলো বাংলাদেশ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২১, ০৫:৩২ পিএম
হোয়াইটওয়াশই হলো বাংলাদেশ

তীরে এসে আবারও তরী ডুবল। নাটকীয় শেষ ওভারের পর হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হল বাংলাদেশকে। শেষ ওভারে ৮ রান প্রয়োজন হলে ম্যাচে বাংলাদেশকে ফিরিয়ে আনেন মাহমুদউল্লাহ। তিন উইকেট তুলে নিলেও শেষ বলে বাউন্ডারি খেয়ে হারতে হলো বাংলাদেশকে। ঘরের মাঠে আবারও হতাশার জন্ম দিল টাইগাররা।  

জয় যেন অধরা এক স্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের কাছে। টানা ৮ ম্যাচ ধরে হেরেই চলেছে টাইগাররা। ঘরের মাঠে যেখানে প্রতিপক্ষকে বলে-কয়ে সিরিজ হারাতো, সেখানে পাকিস্তানের কাছে নাস্তানাবুদ হলো বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের তিনটিতেই হেরে হোয়াইটওয়াশ হল বাংলাদেশ। 

সিরিজের শেষ ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ব্যাটিং ব্যর্থতায় ওপেনার মোহাম্মদ নাঈমের ৪৭ রানে ভর করে মাত্র ১২৪ রান করতে পারে বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শেষ বলে ৫ উইকেটের সহজ জয় পায় পাকিস্তান। দলীয় সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেছেন হায়দার আলী। 

পাকিস্তানের হয়ে ব্যাটিংয়ে ওপেন করতে নামেন বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। ব্যাট হাতে সাবলীল ভাবেই খেলছিলেন এই জুটি। পাওয়ার প্লের ৬ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ২৮ রান তুলে পাকিস্তান। 

পাকিস্তানের ৩২ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙ্গেন আমিনুল ইসলাম। কাউ কর্নারে মোহাম্মদ নাঈমের সহজ ক্যাচে পরিণত হন পাকিস্তানি অধিনায়ক। সাজঘরে ফেরার আগে দুইটি চারে ২৫ বলে ১৯ রান করেন তিনি। এরপর গল্পটা নিজেদের করে নেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও হায়দার আলী। ৪৯ বলে ৫১ রানের জুটিতে ম্যাচ বাংলাদেশের হাত থেকে বের করে নেন তারা। 

ইনিংসের ১৬তম ওভারে রিজওয়ানকে তুলে নেন অভিষিক্ত শহিদুল ইসলাম। একটি ছয় ও দুইটি ছয়ে ৪৩ বলে ৪০ রান করেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। হায়দার আলীর ব্যাট থেকে আসে দলীয় সর্বোচ্চ রান। ৩৮ বলে ২ টি ছয় ও ৩ টি চারে ৪৫ রান করেন তিনি। সরফরাজ আহমেদ করেন ৬ রান। 

শেষ ওভারে জয়ের জন্য পাকিস্তানের দরকার ছিল ৮ রান। টানা দুই উইকেট তুলে নিয়ে হ্যাট্রিকের আশা জাগায় মাহমুদউল্লাহ। শেষ ওভারে আরও একটি তুলে নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেন তিনি। শেষ বলে চার মেরে পাকিস্তানকে জয় এনে দেন নাওয়াজ। 

বাংলাদেশের হয়ে তিন উইকেট নিয়েছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। এছাড়া একটি করে উইকেট নিয়েছেন আমিনুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম। 

Link copied!