বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই ভারতের একচেটিয়া জয়। এ পর্যন্ত দুই দলের পাঁচবারের দেখায় পাঁচবারই জিতেছে ভারত। অর্থাৎ বিশ্বকাপের দুই দলের হেড-টু-হেড পরিসংখ্যান হচ্ছে ৫-০। রোববার আবার মুখোমুখি হচ্ছে চির বৈরী দুই দেশ। ম্যাচটি ঘিরে ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে উত্তেজনা যেমন চরমে, তেমনি ঘুরে ফিরে আলোচনায় এসেছে, পাকিস্তান কি পারবে, ভারতের এই অপ্রতিরোধ্য জয়ের ধারা রুখতে?
বেশির ভাগ ক্রিকেট বিশ্লেষকেরই মত, এবারই ফেভারিট ভারত। অর্থাৎ ভারতই জিতবে পাকিস্তানের বিপক্ষে। শক্তিসামর্থ্যে ভারতও জানান দিচ্ছে নিজের জয়ের ক্ষুধাকে। বিশ্বকাপের ওয়ার্মআপ ম্যাচে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে নিজেদের শক্তি জানান দিয়ে রেখেছে বিরাট কোহলির দল। অন্যদিকে পাকিস্তান তাদের অনুশীলন ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে হেরে সমর্থকদের হতাশ করেছে।
সব মিলিয়ে ভারতের পক্ষেই বাজি ধরার লোক বেশি। সেই দলে আছেন খোদ বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলীও। তার আশাবাদ, বিশ্বকাপের পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের জয়ের ধারা আরও দীর্ঘদিন চলতে থাকবে। দুই দলের জয়-পরাজয়ের পরিসংখ্যান ১৩-০-তে গিয়েই ঠেকার সম্ভাবনা আছে।
ভারতের এবিপি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গাঙ্গুলী বলেন, “হ্যাঁ, এমন সম্ভাবনা আছে যে এটা ১৩-০-তে গিয়েও ঠেকতে পারে। বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের অপরাজেয় থাকার রেকর্ড আরও বাড়বে। ভারতীয় দলে সব খেলোয়াড়ই জেনুইন ম্যাচ উইনার। এই দল আমাদের বিশ্বকাপ জেতার ১০ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটাতে পারে। পাকিস্তানও ভালো দল। যদি দু-একজন খেলোয়াড় দাঁড়িয়ে যায়, তবে যেকোনো কিছুই ঘটতে পারে। এ লড়াইয়ে জয়টাই গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি এটা অসাধারণ এক ম্যাচ হতে যাচ্ছে।”
দীর্ঘদিন ধরে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট খেললেও অধিনায়ক বিরাট কোহলির ঝুলিতে নেই আইসিসির কোনো শিরোপা। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট বলেন, “এটা এমন নয় যে ভারত সব সময় জিতবে। ভারত ২০০৭ ও ২০১১ এর বিশ্বকাপ জিতেছে। আমরা ২০০৩, ২০১৪ এমনকি ২০১৭ সালের ফাইনাল খেলেছি। আমরা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালও খেলেছি। সেখানে পাকিস্তানের কাছে হেরে যাই। ভারতীয় দল এতটাই শক্ত যে, আমরা ফাইনাল খেলার সম্ভাবনা রাখি। এই বছরও আমরা আশাবাদী।”