• ঢাকা
  • শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২৫ মাঘ ১৪৩০, ১০ শা'বান ১৪৪৬

অজিদের ১২৮ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ 


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ৬, ২০২১, ০৯:০৫ পিএম
অজিদের ১২৮ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ 

মিরপুরে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান করেছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। অজিদের হয়ে হ্যাটট্রিক করেছেন অভিষিক্ত নাথান এলিস। জয়ের জন্য অজিদের লক্ষ্য ১২৮ রান।

স্বাগতিক বাংলাদেশ ও সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সিরিজ জয়ের লক্ষ্য অপরিবর্তিত একাদশ নিয়েই মাঠে নামে বাংলাদেশ। অপর দিকে জয়ের খোঁজে একাদশে তিনটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে ম্যাথু ওয়েডের দল। 

বাংলাদেশের হয়ে উদ্ধোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে নামেন সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ নাঈম। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে পেসাররা বোলিংয়ে ওপেন করলেও আজ প্রথম ওভারে আক্রমণে আসেন অ্যাশটন টার্নার। মাত্র দুই রান দিয়ে প্রথম ওভার শেষ করেন টার্নার। 

সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচে সৌম্য আগে সাজঘরে ফিরলেও আজ ঘটে তার উল্টা। জশ হ্যাজলউডের বলে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মোহাম্মদ নাঈম। স্কোরবোর্ডে ৩ রানের মধ্যেই নেই প্রথম ওপেনার। 

বোলিং পরিবর্তন করে তৃতীয় ওভারে অ্যাডাম জাম্পাকে আনেন অধিনায়ক ওয়েড। এসেই প্রথম বলেই তুলে নেন আগের দুই ম্যাচের ফ্লপ সৌম্য সরকারকে। জাম্পার ফুললেংথের বল সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লু হয়েছেন সৌম্য। রিভিও নিয়েও বাচতে পারেননি তিনি। দুই ওপেনারকে হারিয়ে পাওয়ার প্লের ৬ ওভার শেষে টাইগাররা স্কোরবোর্ডে তুলে ২৮ রান। 

এরপর অলরাউন্ডার সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ বলের মেধা দেখে খেলতে থাকেন। মিচেল মার্শের অষ্টম ওভারে দুটি চার মারেন সাকিব ও একটি চার আসে অধিনায়কের ব্যাট থেকে। নবম ওভারে জাম্পার বল তুলে মারতে গিয়ে লং অফে অ্যাগারের হাতে ধরা পড়েন সাকিব। ভাঙে দুইজনের ৩৬ বলে ৪৪ রানের জুটি। আউটের আগে চারটি চারে ১৭ বলে ২৬ রান করেন তিনি। 

সাকিবের পরে ক্রিজে আসেন তরুণ ব্যাটসম্যান আফিফ হোসাইন। আগের ম্যাচ যেখানে শেষ করেছিলেন আজ সেখান থেকেই শুরু করেন তরুণ হার্ডহিটার। যতক্ষণ মাঠে ছিলেন খেলে গেছেন দারুণ সব শট। অ্যাশটন অ্যাগারকে স্লগ সুইপে দারুণ ছয় মেরেছেন তিনি, যা ইনিংসের প্রথম ছয় বটে। রানের চাকা সচল রাখা আফিফ আউট হন ক্যারির দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে। মিড অফে বল ঠেলে দিয়েই রান নিতে গেলে ক্যারি সরাসরি থ্রোয়ে উইকেট ভাঙে। ১২তম ওভারে এসে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দলের রান তখন ৭৬। 

এরপর জিম্বাবুয়েতে দুর্দান্ত খেলা শামীম হোসাইন আসেন ক্রিজে। হ্যাজলউডের শর্ট বলে তুলে মারতে গিয়ে মিসটাইমিংয়ে মিডউইকেটে ধরা পড়েন ম্যাকডারমটের হাতে। চাপের মুখে দলকে এগিয়ে নিতে পারেননি তিনি। ৮ বলে ৩ রান করে ফিরেন ড্রেসিংরুমে। ৫ রানের ব্যবধানে দুই উইকেট হারায় টাইগাররা। 

আগের ম্যাচের নায়ক নুরুল হাসান দুর্দান্ত ছয় মারলেও ইনিংসটাকে লম্বা করতে পারেননি। আফিফ হোসেনের মতো নুরুল হাসানও হলেন রানআউট, তা-ও আবার সরাসরি থ্রোয়ে। ময়েজেস হেনরিকসের সরাসরি থ্রোয়ে ৫ বলে ১১ রান করে আউট হন নুরুল। ১৬ ওভার শেষে দলের স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ৯৮। 

শেখ মেহেদী ও মাহমুদউল্লাহর অবিচ্ছিন্ন জুটিতে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ৩০ রান। অধিনায়ক করেন  ছিলেন ৫২ রানে। মেহেদীর ব্যাট থেকে আসে ৬ রান। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ১২৭ রান। 

এর আগে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ২৩ রানে ও দ্বিতীয় ম্যাচে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। 

Link copied!