• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নতুন সোলার প্যানেল


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০২২, ০১:৫৩ পিএম
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নতুন সোলার প্যানেল

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয় মহাকাশেই। শক্তি উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা হয় শক্তিশালী সোলার প্যানেল। সূর্যের আলো থেকে শক্তি নিয়ে অন্যান্য স্যাটেলাইটের মতোই চলে একটি ফুটবল মাঠের সমান এই অবকাঠামোটি। সম্প্রতি সেখানে যুক্ত করা হয়েছে নতুন সোলার প্যানেল।

এই মহাকাশ স্টেশনটিই বর্তমানে মহাকাশে অবস্থানরত সবচেয়ে বড় অবকাঠামো। ১৯৯৮ সালে এটি মহাকাশে স্থাপন করা হয়। মেয়াদ বাড়িয়ে স্টেশনটিকে ২০৩১ সাল পর্যন্ত ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। সেখানে থেকে মহাকাশে কাজ করতে পারেন ৭ জন বিজ্ঞানী। অন্যান্য কাজের পাশাপাশি তাদের নিত্যদিনের কাজকর্ম ও গবেষণায় প্রয়োজন হয় অনেক বিদ্যুৎ।

২৭ নভেম্বর নতুন সোলার প্যানেল পাঠানো হয়েছে মহাকাশে। প্যানেলগুলো মহাকাশ স্টেশনে স্থাপন করেছেন দুই আমেরিকান মহাকাশচারী। জোশ কাসাদা ও  ফ্রাঙ্ক রুবিওকে দেওয়া হয় এই দায়িত্ব। ইলন মাস্কের স্পেসএক্স কোম্পনির ড্রাগন কার্গো দিয়ে এই প্যানেলগুলো মহাকাশে পাঠিয়েছে নাসা।

ড্রাগন কার্গো স্পেসএস্কের বানানো সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ক্যাপসুল। স্পেস স্টেশনে মহাকাশচারী নিয়ে যেতে, ফিরিয়ে আনতে, কিংবা মালামাল পৌঁছে দিতে তুলনামূলক নিরাপদ প্রমাণিত হয়েছে এটি। মহাকাশে কাজ শেষে বায়ুমণ্ডল পেরিয়ে প্যারাস্যুটে ভর করে সমুদ্রে অবতরণ করে ক্যাপসুলটি। মহাকাশচারীদের ভ্রমণ নিরাপদ করতে অত্যাধুনিক প্যারাস্যুটের ব্যবহার করা হয় ড্রাগন কার্গোতে।

নতুন এই সোলার প্যানেলগুলোর মাধ্যমে আগের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। প্রতিদিন উৎপাদিত হবে ১ লাখ ২০ হাজার ওয়াট বিদ্যুৎ।  

মহাকাশচারীদের এই প্যানেল বসানোর ভিডিওচিত্র প্রকাশ করেছে নাসা। শীতল মহাকাশে ভরশূণ্য সেই পরিবেশে দারুণ ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে দেখা যায় তাদের। মনে হয় যেন মহাকাশে হাঁটছেন তারা। তাদের একপাশে দেখা যায় মিহি কালো সীমাহীন মহাকাশ আর অন্যপাশে আমাদের নীলগ্রহ, পৃথিবী। মোহনীয় সেই পরিবেশে কাজ করতে একটু ভুল হলেই ঘটে যেতে পারে বিপত্তি। তারা হারিয়ে যেতে পারেন কালের গহ্বরে।

মোট দুইটি সোলার প্যানেল স্থাপন করেছেন মহাকাশচারীরা। এই কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন করতে স্টেশনের বাইরে তাদের ৭ ঘন্টা থাকতে হয়েছে। তাদের কাজ দেখে অভিভূত হবেন যে কেউ।

Link copied!