দেশজুড়ে অনিবন্ধিত বা অবৈধ মোবাইল ফোন যে কোনো নেটওয়ার্কে চালু হলেও তা বন্ধ করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী।
এ কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মানুষের ভোগান্তি এড়াতে আমরা পাইকারি হারে মোবাইল ফোন বন্ধ করছি না। এছাড়া ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) ব্যবস্থায় নিবন্ধিত না হলে সেই সেটগুলোকে অবৈধ বলতাম। আমরা যে সেটগুলো বন্ধ করা শুরু করেছিলাম সেগুলো বন্ধের কাজ শুরু করায় দেখা গেল মানুষের ভোগান্তি হয়।”
বিদেশে আমাদের এক কোটির মতো প্রবাসী বাংলাদেশি থাকে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “তারা আত্মীয়-স্বজনের জন্য একটা বা দুটা করে সেট নিয়ে আসতো। সেগুলো অনিবন্ধিত হওয়ায় হঠাৎ করে বন্ধ করা শুরু করায় ভোগান্তিতে পড়ছেন। তারা বিদেশ থেকে তাদের স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না।”
তকে ভবিষ্যতে বন্ধ করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, “এনইআইআর সিস্টেমে আমরা নিবন্ধিত সেটগুলোর ডাটাবেজ তৈরি করছি। ভবিষ্যতে এনবিআর (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) যদি চায় আমরা তাদের সরবরাহ করতে পারবো। তবে আমরা এ মুহূর্তে সেটগুলো বন্ধ করছি না।”
এরইমধ্যে বন্ধ হওয়া সেটগুলোর কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “মোবাইল ফোন বন্ধ করার আগে গ্রাহকদের এসএমএস পাঠানো হয়েছে। তারা নিবন্ধনের আওতায় এসেছে।”
এদিকে অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন বন্ধ না করতে বিটিআরসিকে নির্দেশনা দিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
গত ১ জুলাই জাতীয় পরিচিতি ও নিবন্ধিত সিম কার্ডের সঙ্গে ট্যাগিং করে প্রতিটি মোবাইল ফোন নিবন্ধনের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি সেবা গ্রহণ প্রদান নিশ্চিত করা, অবৈধভাবে উৎপাদিত/আমদানিকৃত মোবাইল ফোনের ব্যবহার বন্ধ করার মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব আহরণ নিশ্চিত করা, ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের চুরি ও অবৈধ ব্যবহার রোধ করা এবং জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহকে সহায়তা প্রদানের উদ্দেশে এনইআইআর কার্যক্রম শুরু করা হয়।
এছাড়া গত ১ অক্টোবর থেকে নেটওয়ার্কে নতুনভাবে সংযুক্ত সব অবৈধ হ্যান্ডসেটের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা শুরু হয়।