স্বাধীনতা সংগ্রামে আত্মদানকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ভারতের প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দ।
এর আগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সড়ক পথে তেজগাঁওয়ে পৌঁছান রামনাথ। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পৌঁছান তিনি। পরে শহীদদের স্মরণে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান তিনি। এ সময় কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন ভারতের রাষ্ট্রপ্রধান।
একই সঙ্গে শহীদদের প্রতি সামরিক কায়দায় সশস্ত্র সম্মান জানায় সশস্ত্রবাহিনীর একটি চৌকস দল। এ সময় বেজে উঠে বিউগলের করুণ সুর।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে একটি গাছের চারা রোপণ করেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ। সই করেন স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইয়ে। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন সহধর্মিনী সবিতা কোবিন্দ ও কন্যা স্বাতি কোবিন্দ।
সাভারের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তিনি রওনা দেন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে। সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি জাদুঘর ঘুরে দেখবেন।
এর আগে মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে তিন দিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছান ভারতের প্রেসিডেন্ট।
বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে তাকে ১১টা ৩৫ মিনিটে তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও তার সহধর্মিনী রাশিদা খানম। এ সময় কুশল বিনিময় করেন দুই দেশের দুই রাষ্ট্রপ্রধান।
পরে রাষ্ট্রপতি হামিদের আমন্ত্রণে ভিভিআইপি টার্মিনালে তৈরি করা অস্থায়ী অভ্যর্থনা মঞ্চে আসেন রামনাথ। সেখানে ভারতের রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার দেয় সশস্ত্রবাহিনীর একটি চৌকস দল। পরে প্যারেড ঘুরে দেখেন ভারতের রাষ্ট্রপ্রধান।
এর আগে ভারতের স্থানীয় সময় বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) ৯টা ২৩ মিনিটে ভারতের রাজধানী দিল্লির ইন্দিরা গান্ধি ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দর থেকে স্ত্রী-কন্যাকে নিয়ে রামনাথ বাংলাদেশের উদ্দেশে উড়াল দেন।
করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর এটাই কোবিন্দের প্রথম বিদেশ সফর। বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশের মহা আয়োজনে অন্যতম আমন্ত্রিত অতিথি তিনি।