হাইকোর্টের রায় ও নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা হয়েছে।
জানা গেছে, আইন অনুসারে গণসংহতি আন্দোলনকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দিতে হাইকোর্টের রায় ও নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করায় তার বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জানান হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় দলটির সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি এ আবেদন করেন।
আইনজীবী জ্যোর্তিময় বড়ুয়া বলেন, “আদালতের সুস্পষ্ট রায় ও নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন কোনো প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এরপর বিভিন্ন সময়ে এই রাজনৈতিক দলের পক্ষে বারবার যোগাযোগ করা হলেও কোনো জবাব না পাওয়ায় গত বছরের ১০ অক্টোবর আইনজীবীর মাধ্যমে আদালত অবমাননার নোটিশ পাঠানো হয়। ওই নোটিশ পাওয়ার পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও নির্বাচন কমিশন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তাই আজ (বৃহস্পতিবার) সিইসি কে এম নূরুল হুদার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার কারণে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা চেয়ে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে মো. জোনায়েদ আব্দুর রহিম সাকি আদালত অবমাননা মামলা (নং ৭৮-২০২২) করেন।
জ্যোর্তিময় বড়ুয়া বলেন, “গণসংহতি আন্দোলনকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন চেয়ে ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করা হয়। এরপর ২০১৮ সালের ১৯ জুন নির্বাচন কমিশন এক পত্রের মাধ্যমে নিবন্ধন করা যাবে না মর্মে অবহিত করে। পরবর্তী সময়ে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে প্রধান সমন্বয়ক মো. জোনায়েদ আব্দুর রহিম সাকি উচ্চ আদালতে রিট মামলা দায়ের করেন।
আইনজীবী জ্যোর্তিময় আরও বলেন, “উভয়পক্ষের শুনানি শেষে রিট মামলায় উচ্চ আদালত ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল রুল মঞ্জুর করেন এবং রায় ও আদেশের অনুলিপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে নিবন্ধন প্রদানের আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন।”
গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে এ রায় ও আদেশের সত্যায়িত অনুলিপি যথাসময়ে নির্বাচন কমিশনকে দাখিল করা হয় এবং আদালত থেকেও নিয়ম অনুযায়ী রায় ও আদেশের অনুলিপি পাঠানো হয়।