করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে রাজধানীতে টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে এই টিকাদান কর্মসূচির শুরু হয়েছে। ৬০ বছরের বেশি বয়সীরা এবং সম্মুখসারির কর্মীরা এই বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিঞা এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
সচিব জানান, টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর যাদের অন্তত ৬ মাস পার হয়েছে তাদের তৃতীয় ডোজ দেওয়া হবে।নতুন করে নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই। এসএমএস-এর মাধ্যমে বুস্টার ডোজ প্রাপ্তদের জানানো হবে। ষাটোর্ধ্ব এবং সম্মুখসারির যোদ্ধারা বুস্টার ডোজ পাবেন। দেশের সবাইকে দুই ডোজ টিকা অবশ্যই নিতে হবে।
রাজধানীর বাইরে বুস্টার ডোজ আরও কিছুদিন পর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর।
অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, সুরক্ষা অ্যাপ হালনাগাদ করার কাজ চলছে। আপাতত কেবল রাজধানীতে বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে।
করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর বাংলাদেশেও বুস্টার ডোজ দেওয়ার পরামর্শ দেয় কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। গত ১৯ ডিসেম্বরে ৬০ জনকে পরীক্ষামূলকভাবে টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনার সংক্রমণ দেখা দেয়। বাংলাদেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। ওইদিন তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে প্রথম মৃত্যুর খবর জানানো হয় একই বছরের ১৮ মার্চ।