• ঢাকা
  • রবিবার, ১২ মে, ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ৩ জ্বিলকদ ১৪৪৫

‘বিদ্যুৎ উৎপাদন ও চাহিদার সঠিক হিসেব প্রকাশ হচ্ছে না’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২২, ০২:৪৯ পিএম
‘বিদ্যুৎ উৎপাদন ও চাহিদার সঠিক হিসেব প্রকাশ হচ্ছে না’

সরকার প্রকৃত কি পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে আর কী পরিমাণ চাহিদা, তার সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে লোডশেডিংয়ের মূল কারণ জানা যাচ্ছে না বলে মনে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সকালে সিপিডির কার্যালয়ে ‍‍‘বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার আভাস এবং বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ : উত্তরণ কোন পথে?’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেছেন, সরকার যদি বিদ্যুতের দাম বাড়ায়, তাহলে টাকা পাবে কিন্তু ডলার পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম “সরকারের উচিত নো বিদ্যুৎ নো পেমেন্ট নীতিমালায় যাওয়া। ক্যাপাসিটি চার্জের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি বন্ধ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, “জ্বালানি সংকট কাটানোর জন্য এই মুহূর্তে প্রয়োজন গ্যাস উত্তোলন বাড়ানো। এর সঙ্গে বাড়াতে হবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার। আমাদের দেশে জ্বালানির কোনো নীতিমালা নেই। আমাদের এই মুহূর্তে এই নীতিমালা তৈরি করতে হবে।”

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, “কোভিড-পরবর্তী বেসামাল অর্থনীতিতে নতুন করে ধাক্কা দিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। ফলে পুরো বিশ্বে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি নিচের দিকে। ফলে অর্থনীতির এমন সংকট কত দিন চলমান থাকে বলা যাচ্ছে না।”

ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, “বৈশ্বিক এই সংকটে আমাদের দেশে আমদানি পণ্যের দাম বাড়া স্বাভাবিক। কিন্তু দেশীয় পণ্যের দাম বাড়ার কারণ আমাদের জানা নেই। এভাবে চলতে থাকলে দেশে খাদ্যসংকট দেখা দেবে, এটা স্বাভাবিক। এমনিতে বন্যার কারণে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর খারাপ সময় যাচ্ছে। আর বর্তমানে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে আরও খারাপ সময় যাচ্ছে।”

বৈশ্বিক বাজারে পণ্যের দামের সঙ্গে দেশের বাজারের দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সারা বিশ্বে সেবাখাত থেকে শুরু করে নিত্যপণ্যের দাম একরকম থাকলেও আমাদের দেশে তা ব্যতিক্রম। তুলনামূলক সব পণ্যের দাম এখানে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বেশি।”

 

Link copied!