• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

লঞ্চে আগুন : ৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৬, ২০২১, ০৪:৩৮ পিএম
লঞ্চে আগুন : ৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
ফাইল ছবি

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ নামের একটি লঞ্চে আগুন লাগার ঘটনায় নৌ আদালতে মামলা করা হয়েছে। মামলার পর লঞ্চের চার মালিকসহ আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন নৌ আদালত।

রোববার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে মামলা দায়েরের পর সেটি আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন নৌ আদালতের বিচারক (স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট) জয়নাব বেগম।

গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নৌ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বেল্লাল হোসাইন।

এর আগে রোববার এ ঘটনায় মামলা হওয়ায় আইন অনুযায়ী অভিযান-১০ লঞ্চের ফিটনেস সনদ, নিবন্ধন ও মাস্টার-চালকদের সনদ স্থগিত করা হবে বলে নৌপরিবহন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।

দুপুরে নৌপরিবহন অধিদপ্তরে অবস্থিত নৌ আদালতে মামলা করেন অধিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক মো. শফিকুর রহমান।

মামলার আসামিরা হলেন- লঞ্চটির স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স আল আরাফ অ্যান্ড কোম্পানির চার মালিক মো. হামজালাল শেখ, মো. শামিম আহম্মেদ, মো. রাসেল আাহাম্মেদ ও ফেরদৌস হাসান রাব্বি, লঞ্চের ইনচার্জ মাস্টার মো. রিয়াজ সিকদার, ইনচার্জ চালক মো. মাসুম বিল্লাহ, দ্বিতীয় মাস্টার মো. খলিলুর রহমান ও দ্বিতীয় চালক আবুল কালাম।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিদের নামে অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল অধ্যাদেশ ১৯৭৬ (সংশোধনী ২০০৫)–এর ৫৬, ৬৬, ৬৯ ও ৭০ ধারায় পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণযন্ত্র না থাকা, জীবনরক্ষাকারী পর্যাপ্ত বয়া ও বালুর বাক্স না থাকা, ইঞ্জিনকক্ষের বাইরে অননুমোদিতভাবে ডিজেলবোঝাই অনেক ড্রাম রাখা এবং রান্নার জন্য গ্যাসের চুলা ও সিলিন্ডার রাখার অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

এ বিষয়ে মামলার বাদী অধিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক মো. শফিকুর রহমান বলেন, “অধিদপ্তরের বরিশালের পরিদর্শকের প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্যে মামলাটি করা হয়েছে। এছাড়া নৌ মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে এ ঘটনায় মৃত্যুজনিত দায় নির্ধারণ করে সম্পূরক মামলা করা হবে।”

এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চটিতে আগুন লাগে। তখন লঞ্চটি ঝালকাঠি শহরের কাছাকাছি সুগন্ধা নদীতে ছিল। এতে দ্রুতই আগুন পুরো লঞ্চে ছড়িয়ে পড়ে।

এছাড়া শীতের রাত হওয়ায় লঞ্চের অধিকাংশ যাত্রী তখন ঘুমিয়ে ছিলেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এদের মধ্যে ৩৭ জনেরই বাড়ি বরগুনায়। 

এছাড়াও আহত রয়েছেন শতাধিক যাত্রী। আর কতজন নিখোঁজ রয়েছেন তা জানা যায়নি।
 

Link copied!