• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬
শাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

ঢাকায় বামপন্থী ছাত্রসংগঠনের সংহতি সমাবেশ


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২২, ১১:০৭ পিএম
ঢাকায় বামপন্থী ছাত্রসংগঠনের সংহতি সমাবেশ

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে সংহতি সমাবেশ করেছে বামপন্থী নয়টি ছাত্রসংগঠন।

শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি-সংলগ্ন সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই সংহতি সমাবেশ করা হয়।

বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলো হলো সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (বাসদ ও মার্কসবাদী), বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, ছাত্র ফেডারেশন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, গণতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ও বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন। সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, আইনজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সংহতি প্রকাশ করেন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, “আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে আগত শিক্ষার্থীদের প্রথম বর্ষেই মেরুদণ্ডহীন করে দেওয়া হয়। আজ যখন শিক্ষার্থীরা তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের আন্দোলন করছে, তখন তাদের ওপরে নিপীড়ন শুরু করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দেখা যায়, যারা সরকারের ভৃত্য-গোলামে পরিণত হতে পারে তারাই আজ ওই পদের জন্য যোগ্য হয়ে থাকে। যার উদাহরণ আজকের শাহজালাল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটমান পরিস্থিতিতে তথাকথিত উপাচার্যের শিক্ষার্থীদের প্রতি আচরণের মাধ্যমে পরিলক্ষিত।”

সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক হারুনুর রশিদ বলেন, “ছাত্রদের দাবি ছিল খাবারের মান বৃদ্ধি করা, ইন্টারনেট সুবিধা বৃদ্ধি করা। এটা শিক্ষার্থীদের দাবি না, এটা আপনাদের দায় হওয়া উচিত ছিল। আপনারা আজ সশরীর ক্লাস বন্ধ করে অনলাইন ক্লাসের কথা বলছেন অথচ শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টারনেটের মান বাড়েননি। যখনই ছাত্রদের আন্দোলন হয়েছে, আপনারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছেন। করোনাভাইরাস শুধু আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে থাকে, অন্য কোথাও থাকে না! আপনারা চান না অন্যায়ের বিরুদ্ধে ছাত্ররা আওয়াজ তুলুক।”

সাংবাদিক ফারুক ওয়াসিফ বলেন, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন, এটি সারা দেশের লুটপাট, জুলুমের প্রতিচ্ছবি। এই শাবিপ্রবি ভিসি নিজেকে জমিদার মনে করেন। তিনি ক্ষমতার ডালে বাদুড়ের মতো উল্টে জড়িয়ে আছেন। ইনি একজন গ্রেনেডিয়ার, গ্রেনেড ভিসি৷ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে তিনি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়েন। এই উপাচার্যকে সরানো না গেলে সারা দেশে এ রকম অনেক দুর্বৃত্ত উপাচার্য তৈরি হবে।”

বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ইকবাল কবিরের সভাপতিত্বে সংহতি সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশাহিদা সুলতানা রিতু, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আইনুন্নাহার সিদ্দিকা জুঁথি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন প্রিন্স, ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি সুনয়ন চাকমা, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সহসভাপতি অনিক রায়, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সহসভাপতি সায়েদুল হক নিশান। এতে সঞ্চালনা করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ।

Link copied!