অডিও কেলেঙ্কারিতে বিতর্কিত হওয়ার পরপরই সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান কানাডা পাড়ি দিয়েছেন। বাংলাদেশের শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পেরিয়ে গেলেও কানাডার বিমানবন্দরে আটকে গেছেন মুরাদ হাসান।
কানাডাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নতুন দেশ-এর প্রতিবেদনে জানা যায়, মুরাদকে কানাডায় ঢুকতে দেয়নি দেশটির বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি। টরন্টোর পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিতর্কিত এই মন্ত্রীকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও জানায়, ডা. মুরাদ শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টায় টরন্টো পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তাকে জানানো হয়, তার সেদেশে প্রবেশে নিয়ে অনেক কানাডিয়ান নাগরিক আপত্তি তুলেছেন। এরপর তাকে ফেরত পাঠানো হয়। মধ্যপ্রাচ্যের একটি বিমানে তাকে তুলে দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
এদিকে উত্তর আমেরিকার দেশটির একটি বাংলা সংবাদমাধ্যম জানায়, অশালীন বক্তব্য দিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো ডা. মুরাদ হাসান কানাডায় ঢুকতে পারেননি। কানাডায় বসবাসরত মুরাদের ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্রও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে।
কানাডা বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সির (সিবিএসএ) সঙ্গে যোগাযোগ করে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য জানা যায়নি বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) রাতেই এমিরেটস এয়ারলাইনসের ফ্লাইট ইকে ৮৫৮৫-তে রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যান মুরাদ হাসান। তিনি প্রথমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই যান। সেখান থেকেই অন্য আরেকটি ফ্লাইটে কানাডা রওনা করেন।
চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ও নায়ক ইমনের সঙ্গে মুরাদের অশালীন কথোপকথনে অডিও ফাঁস হয়। এরপরই বিভিন্ন মহলে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তিনি পদত্যাগ করেন। পরে দেশ ত্যাগ করেন সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী।