• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

এমপি তুহিনকে যুব মহিলা লীগের কারণ দর্শানোর নোটিশ


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২২, ২০২১, ১১:৪১ এএম
এমপি তুহিনকে যুব মহিলা লীগের কারণ দর্শানোর নোটিশ

ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের সভাপতি সাবিনা আক্তার তুহিনকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি।

মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) সংগঠনটির সভাপতি নাজমা আক্তার স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়েছে, যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ গঠনতন্ত্রের ১১ (খ) ধারা মোতাবেক শাখা সংগঠন সমূহের সভাপতি দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে তিনি কার্যনির্বাহী কমিটি এবং ঊর্ধ্বতন সব স্তরে জবাবদিহি করবেন এবং গঠনতন্ত্রের ১২ (খ) ধারা ‘সভাপতির গঠনতান্ত্রিক ক্ষমতা বা দায়িত্ব’ মোতাবেক আপনার সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডের ব্যাখ্যা বা কারণ দর্শাতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

নোটিশে আরো বলা হয়, গত মহান বিজয় দিবস উদ্‌যাপন এবং শ্রদ্ধা নিবেদনের পূর্বে ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বরের জাতিরজনক শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় অসাংগঠনিক কর্মকাণ্ড করেছেন। কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নাজমা আক্তারসহ অনেককে অপমান, নাজেহাল এমনকি শারীরিকভাবে আহত ও লাঞ্ছিত করেছেন। সুবর্ণজয়ন্তীর একটি ঐতিহাসিক দিনে আপনার ও আপনার কর্মীদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির অনেককে চোখের জল নিয়ে বাড়ি ফিরতে হলো! এর প্রকৃত এবং গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা প্রদান করুন। 

আরও বলা হয়, গত ২০১৭ সালের জুলাই মাসের ২৪ তারিখে দায়িত্ব নেওয়ার প্রায় সাড়ে চার বছরেও কোনো থানা, ওয়ার্ড আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মেলন করে কমিটি গঠন করেন নাই। এর ফলে দলীয় কর্মীরা পদ এবং অধিকার বঞ্চিত হচ্ছে। সাংগঠনিক নিয়ম মেনে আপনার দলীয় কর্মকাণ্ড পরিচালিত না করার ফলে দল সুসংগঠিত হয়নি অথচ পদ আঁকড়ে আছেন। এর সুনির্দিষ্ট এবং যথাযথ ব্যাখ্যা প্রদান করুন। 

নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক পাপিয়া আপনার দীর্ঘদিনের পারিবারিক বন্ধু। তাঁর অপকর্মের জন্য শেখ হাসিনার হাতে গড়া সংগঠন যুব মহিলা লীগ দেশে বিদেশে অনেক সমালোচনার মুখে পরে। আপনার বিরুদ্ধে পাপিয়াকে প্রশ্রয় দেওয়ার  অভিযোগ আছে। এর প্রকৃত যোগ করুন।

অভিযোগ আরও বলা হয়, আপনি আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এর স্ট্যাটাসে গত ১৭ ডিসেম্বর লিখেছেন, নাজমা আক্তার ১/১১ এর সময় আপনাকে কোর্ট ও সাবজেলে যেতে নিষেধ করেছিল। তিনি শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনে অংশ না নিয়ে পালিয়ে বেড়িয়েছিলেন। আপনার উপরিউক্ত বক্তব্যের উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ আপনাকে হাজির করার নির্দেশ প্রদান করা হলো। 

তাই সংগঠনের শৃঙ্খলা ও স্বার্থ পরিপন্থী কার্যক্রমে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে আপনার বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা কেন হবে না, তার ব্যাখ্যাসহ আপনার লিখিত জবাব ২২ ডিসেম্বর থেকে আগামী সাত কার্য দিবসের মধ্যে যুব মহিলা লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের কাছে প্রেরণ করার নির্দেশ প্রদান করা হলো। একই সঙ্গে পরবর্তী নির্দেশ ব্যতীত আপনাকে যুব মহিলা লীগের সকল কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার নির্দেশ প্রদান করা হলো।

Link copied!