ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনে আটকেপড়া পাঁচ বাংলাদেশির বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখছি, তাদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
শনিবার (৫ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সিলেট রত্ম ফাউন্ডেশন আয়োজিত সি এম তোফায়েল সামীর স্মরণসভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
সম্প্রতি ইউক্রেনে পাঁচ বাংলাদেশিকে আটকে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে, রাশিয়া দূতাবাসের ফেসবুক পেজে শেয়ার করা এ সংক্রান্ত একটি ভিডিওর বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমি জানি না, এ বিষয়ে আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি। আমাদের দূতাবাসের কর্মকর্তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন। তবে ইউক্রেনে আটকেপড়া বাংলাদেশিদের প্রতি বিরূপ আচরণ করা হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।”
এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, “ইউক্রেনে আটকেপড়া বাংলাদেশিদের তথ্য আমরা জানতে চেষ্টা করছি। তাদের নিরাপদে পোল্যান্ড ও রোমানিয়ায় ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ইউক্রেনে আটকেপড়া বাংলাদেশিদের উদ্ধারে ভারতও সহযোগিতা করছে। আমরা তাদের সহযোগিতা চেয়েছি।”
এদিকে ফেসবুকের ওই ভিডিও ছাড়াও জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগের খবরে জানা গেছে, ইউক্রেনের কিভারতিসি শহরের একটি অভিবাসী শিবিরে আটকে আছেন পাঁচ বাংলাদেশিসহ শতাধিক বিদেশি।
এর আগে গত মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ অধিবেশনে ভোট দেয় সদস্য রাষ্ট্রগুলো। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনকে নিন্দা জানিয়ে আনা রেজুলেশনে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা ভোট দানে বিরত ছিল।
তবে নেপাল, ভুটান, আফগানিস্তান ও মালদ্বীপ রেজুলেশনের পক্ষে ভোট দেয়। পূর্ব এশিয়ার মধ্যে চীন ভোট দানে বিরত থাকলেও জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড পক্ষে ভোট দেয়।
ওই রেজুলেশনটির পক্ষে ১৪১ ভোট পড়ে। বিপক্ষে রাশিয়াসহ পাঁচটি দেশ এবং ৩৫টি দেশ ভোট দানে বিরত থাকে।