আগামী দুই বছর দেশের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হবে। পাশাপাশি অ্যাসল্ট (হামলা) আসবে বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
শনিবার (২৯ জানুয়ারি) এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা জানান তিনি।
‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে লবিষ্ট ষড়যন্ত্র এবং বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের করণীয়’ শীর্ষক সভাটির আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আগামী দুই বছর অনেক ষড়যন্ত্র হবে। বানোয়াট-মিথ্যা অ্যাসল্ট (হামলা) আসবে। এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পার্লামেন্টের সদস্যের চিঠি লেখানোর মতো আরও অনেক চিঠি লেখানো হতে পারে।
এ সময় বিএনপির লবিস্ট নিয়োগ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “বিদেশে অনেকেই লবিস্ট নিয়োগ করে। ব্যবসা ও রাজনৈতিক কারণে লবিস্ট নিয়োগ করা হয়। অন্য কোনো দেশের বিরোধীদল দেশের বিরুদ্ধে লবিস্ট নিয়োগ করে না। কিন্তু বিএনপি লবিস্ট নিয়োগে ৪.১৩ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। আমরা জানতে চাই, বিএনপি-জামায়াত লবিস্ট নিয়োগের হিসাব-নিকাশ দেখিয়েছে কি না। দলটি নির্বাচন কমিশনে সম্পদের হিসাবে লবিস্টের খরচ দাখিল করেছে কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে। এতে দলটির নিবন্ধন বাতিল, এই টাকা বৈধভাবে গেছে কিনা, তারও ফয়সালা হওয়া দরকার।”
দেশের জন্য লবিস্ট হয়ে কাজ করেছেন জানিয়ে মোমেন বলেন, “আমাদের লবিস্ট আমাদের দূতাবাস। তারা আমাদের এক নম্বর লবিস্ট। তবে দেশের জন্য নিজের পয়সায় অনেকেই লবিস্টের কাজ করেন। আমিও দেশের জন্য লবিস্টের কাজ করেছি।”
এ সময় র্যাব প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “র্যাবের কারণেই সন্ত্রাস কমেছে। দেশে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সংস্থাটি। তবে র্যাবের বিরুদ্ধেই এখন ষড়যন্ত্র চলছে। র্যাব না থাকলে একটি দলের সুবিধা হয়। কারণ তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বাংলাদেশকে অশান্তির জনপদে পরিণত করতে পারবে।”
ঢাকা ও ওয়াশিংটনের গভীর সম্পর্ক জানিয়ে ড. মোমেন বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের গভীর সম্পর্ক। তারা এখানে অনেক বিনিয়োগ করেছে। এতে আমাদের উন্নয়ন হয়েছে। তবে এই বিনিয়োগ যেন না করে, সেজন্য লবিং হয়েছে। যারা এসব করেছে, তারা বাংলাদেশের মানুষের মঙ্গল চায় না। এ নিয়ে দেশবাসীর প্রশ্ন করা উচিত।”