জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ডের পেছনে জিয়াউর রহমান দায়ী ছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, “চার নেতাকে হত্যার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ধ্বংস করা হয়েছিল।”
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জেলহত্যা দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলহত্যার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হয় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “খন্দকার মোশতাক ও জিয়াউর রহমানের নির্দেশেই জেলহত্যার ঘটনা ঘটে। কারারক্ষীদের মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে কারাগারে প্রবেশ করে তাদের হত্যা করা হয়েছিল।”
তিনি বলেন, “বিএনপি শুরু থেকেই হত্যার রাজনীতি করে আসছে। জিয়াউর রহমান থেকে শুরু করে খালেদা জিয়া সবাই এরকম রাজনীতি করে আসছে।”
তিনি আরও বলেন, “জেলহত্যার বিচার করতে দেয়নি খালেদা জিয়া। বরং ক্ষমতায় থাকাকালীন খুনিদের চাকরি দিয়ে সহযোগিতা করেছিল তারা।”
এর আগে, জেলহত্যা দিবসে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে শাহাদাতবরণকারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের এবং ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় হত্যার শিকার জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী।
সকাল সাড়ে ৭টায় বনানী কবরস্থানে গিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সরকারপ্রধান। এ সময় তিনি কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। সকাল ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী।
সেখানে প্রথমে সরকারপ্রধান হিসেবে তিনি একা এবং পরে দলীয় প্রধান হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর দোয়া ও মোনাজাত করে বনানী কবরস্থানের উদ্দেশে ধানমন্ডি ত্যাগ করেন।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর, অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যার মাত্র আড়াই মাস পর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ও তার পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। এরপর থেকে ‘৩ নভেম্বর’ দিনটি জেলহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হয়।