দেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা পঞ্চগড়ে ভোর থেকে শীতের তীব্রতা অনুভূত হয়। তাপমাত্রা নেমে দাঁড়িয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। তবে সূর্য উঠার পর থেকে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ। স্থানীয়রা জানান, ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত ঠান্ডা বেশি থাকলেও রোদ উঠলে চারপাশ ধীরে ধীরে উষ্ণ হয়।
তেঁতুলিয়ার আবহাওয়া অফিস জানায়, গত সপ্তাহজুড়ে জেলার তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৪ ডিগ্রির আশপাশে ঘোরাফেরা করেছে। সোমবার ১৩ দশমিক ৪, রোববার ১২ দশমিক ৬, শনিবার ১৪ দশমিক ৭, শুক্রবার ১৪ দশমিক ৯, বৃহস্পতিবার ১৩ দশমিক ৯, বুধবার ১৪ দশমিক ৩ ও মঙ্গলবার ১৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়।
সদর হাসপাতালে শিশু ও বৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ ঠান্ডাজনিত অসুস্থতায় ভর্তি হচ্ছেন। সন্তানকে নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা কুসুম আক্তার বলেন, ‘রাতে শীত বেশি হয়, সকালে ঘুম থেকে উঠলে গায়েও শীতে লাগে। কিন্তু রোদ উঠলে কিছুটা স্বস্তি লাগে।’
কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ভোরে শীতের মধ্যে মাঠে কাজ করতে একটু অসুবিধা হয়। রোদ উঠলেই কাজ কিছুটা আরামদায়ক হয়।’
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘রাত বাড়লেই ঠান্ডা বাড়ে। সূর্য উঠলেই তাপমাত্রা দ্রুত বেড়ে যায়। আজ ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। এ মাসের শেষে হালকা শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা আছে।’
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক কাজী মো. সাইমুজ্জামান বলেন, ‘শীতার্ত মানুষের জন্য সরকারিভাবে ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলায় শীতবস্ত্র বিতরণ চলছে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও সহায়তা করছে।’































