জিয়াউর রহমানকে তার নিজের লোকেরা হত্যা করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, “বেগম খালেদা জিয়া সোয়া দুই দফায় ১০ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। কিন্তু জিয়ার হত্যাকাণ্ডের বিচার করেননি। কারণ কী? কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরোবে, সেজন্য জিয়ার হত্যাকাণ্ডের বিচার করেননি।”
রোববার (২৭ আগস্ট) গ্রেনেড হামলায় নিহত আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভী রহমানের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে আইভী রহমান পরিষদ।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “বেগম খালেদা ও তারেক জিয়ার নেতৃত্বে আজকের বিএনপিও সেই হত্যার রাজনীতি থেকে বের হয়ে আসতে পারেনি।”
বিএনপির শীর্ষস্থানীয় তিন নেতার সিঙ্গাপুর যাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “পত্র-পত্রিকায় লিখছে, তারা কী আদৌ চিকিৎসা নিতে গেলেন, নাকি আবার কোনো ষড়যন্ত্র করতে একসঙ্গে সিঙ্গাপুর গেলেন। এটি অনেকের প্রশ্ন।”
বিএনপির ঘরের মধ্যে এখন অন্তর্জ্বালা শুরু হয়েছে জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “পত্রিকায় দেখলাম, চট্টগ্রামে ছাত্রদল বিএনপি অফিসে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। কখন যে নয়াপল্টনের অফিসে যুবদল তালা লাগিয়ে দেয়, সেটি দেখার বিষয়। তাদের (বিএনপি) ঘরের মধ্যে এখন অন্তর্জ্বালা শুরু হয়েছে। না হলে ছাত্রদল বিএনপি অফিসে তালা লাগানোর কথা না।”
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “বিএনপির নির্বাচন বর্জন করার অধিকার আছে। কিন্তু নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা যদি কেউ করে, তাহলে দেশের মানুষ কঠোর হস্তে প্রতিহত করবে। এটি ২০১৪ সাল নয়, ২০২৩ সাল। এখন ২০১৩-১৪ সালের পুনরাবৃত্তি করবেন, সেটি এই দেশের মানুষ করতে দেবে না।”
হাছান মাহমুদ বলেন, “২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে পরিচালনা করা হয়েছিল। এ হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হচ্ছেন তারেক রহমান। তার পরিকল্পনায় হাওয়া ভবনে কয়েক দফা বৈঠক হয়। সেগুলো ২১ আগস্টের মামলার প্রসেডিংয়ে আছে। কখন, কোথায় বৈঠক হয়? হাওয়া ভবনে কয়বার বৈঠক হয়। আমি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার সাক্ষী।”
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় যে গ্রেনেডগুলো ব্যবহার করা হয়েছিল, সেগুলো সন্ত্রাসীদের কাছে থাকার কথা নয়। এগুলো সেনাবাহিনী কর্তৃক ব্যবহৃত গ্রেনেড। এগুলো হামলাকারীদের কাছে কীভাবে গেল? রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা ছাড়া এগুলো তাদের হাতে যাওয়ার উপায় নেই।”