• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৭ জ্বিলকদ ১৪৪৫

শহীদ মিনারে ট্রেইনি চিকিৎসকদের অনশন


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ৯, ২০২৩, ০২:৫০ পিএম
শহীদ মিনারে ট্রেইনি চিকিৎসকদের অনশন

ভাতা বৃদ্ধি ও নিয়মিত করার দাবিতে কর্মবিরতি ও গণঅনশন কর্মসূচি পালন করছেন বিএসএমএমইউ ও বিসিপিএসের অধিভুক্ত পোস্টগ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকরা।

রোববার (৯ জুলাই) সকাল ১০টায় পোস্টগ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস্ অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ কর্মসূচি শুরু হয়। চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

কর্মসূচি চলাকালীন প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসক মোজাম্মেল হোসেন বলেন, “এই অনশনের কারণে আমরা যদি কেউ অসুস্থ হই এর দায়িত্ব নিতে হবে। বাংলাদেশের মানুষদের বাঁচাতে ডাক্তারদের বাঁচাতে হবে। আমরা রাস্তায় বসে থাকতে চাই না, আমরা হাসপাতালে ফেরত যেতে চাই, রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে চাই।”

ড. বেনজির বেলাল খান নামের আরেক চিকিৎসক বলেন, “আমাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়ে ট্রিটমেন্টে যোগ দিতে বলা হচ্ছে। আমারও চাই রোগীদের সেবা দিতে। আমরা চাই না রোগীরা কোনো ভোগান্তিতে পরুক। তাই আমাদের অনুরোধ খুব দ্রুত যেন আমাদের দাবিগুলো পূরণ করা হয়।

পোস্টগ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস্ অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, “আমাদের দাবি একটাই ভাতা বৃদ্ধিকরণ। আমরা প্রতিদিন কর্মসূচি ঠিক করি। আজকে গণঅনশন কর্মসূচি পালন করছি। পরবর্তী কর্মসূচি আমরা আলোচনা করে ঠিক করব। সেটা জাতীয় প্রেস ক্লাব কিংবা শাহবাগ অবরোধও হতে পারে।”

আন্দোলনকারী একাধিক চিকিৎসকের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, “আমরা রোগীদের ভোগান্তিতে ফেলতে চাই না। আমরা চাই আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হোক। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ২০ হাজার টাকাতে পরিবার চালানো, নিজে চলা অনেক কষ্টসাধ্য। এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে কম ভাতা দেওয়া হয় আমাদের দেশের ট্রেইনি ডাক্তারদের। ভারতে এই ভাতা দেড় লাখ রুপি, পাকিস্তানে প্রায় পঁচাত্তর হাজার রুপি। ভাতা নিয়মিত করার পাশাপাশি নামমাত্র ভাতা ২০ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৫০ হাজার করা হোক।”

আন্দোলনকারীরা আরও বলেন, “আমাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রজ্ঞাপন দিলে আমরা এখনই কাজে ফিরে যাব। আমরা হাসপাতালে ফিরে যেতে চাই, রোগীদের চিকিৎসা করতে চাই।”

এ সময় আন্দোলনকারীরা ‘ক্ষুধা পেটে সেবা নয়, অধিকার চাই, ভিক্ষা নয়’, ‘যদি চাও ভালো চিকিৎসা করো আমাদের বাঁচার ব্যবস্থা’, ‘ডাক্তার যখন পথে নামে দেশের সম্মান কোথায় থাকে’, ‘আশ্বাস নয়, প্রমাণ চাই, ৫০ হাজার ভাতা চাই’, ‘পেটে খেলে পিটে সয় সেবা তো আর পণ্য নয়’, ‘পেটে আমার ক্ষুধা সেবা দিব কোথা’সহ বিভিন্ন লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

Link copied!