স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, “নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। কাউকে সরকারে আসতে হলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। সংবিধানে বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।”
বুধবার (১১ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ঢাকায় আসা যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এসব কথা বলেন।
মার্কিন প্রতিনিধিদলকে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, “আমাদের তিন হাজারেরও বেশি দৈনিক সংবাদপত্র রয়েছে। এরপর রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। সেখানে তো নানা ধরনের সংবাদ দেওয়া হয়। কাজেই এখানে দুর্নীতি করে কিংবা ভোট কারচুপি করে কেউ পার পাবে বলে আমার মনে হয় না। সেই ধরনের মনোবৃত্তি আমাদের রাজনৈতিক দলের নেই।”
নির্বাচনে সহিংসতার কোনো আশঙ্কা রয়েছে কি না প্রতিনিধিদলের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এর আগে অনেক সহিংসতা দেখেছি, প্রধানমন্ত্রীকে ১৯ বার হত্যাচেষ্টা করেছে। এখন দেশে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সুবাতাস বইছে। সহিংসতা প্রতিরোধ করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নিরাপত্তা বাহিনী সক্ষম। নির্বাচন কমিশন বহুদিন ধরে নির্বাচন করে আসছে। এদেশের মানুষ নির্বাচনকে উৎসব মনে করে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। প্রধানমন্ত্রী নিজেও চান, দেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, “আমি তাদের (পর্যবেক্ষকদলকে) বলেছি, আমাদের মিডিয়া পিপল একদম ফ্রি। তারা যে কোনো সংবাদ যে কোনো সময় ছাপিয়ে দেন। সেই ব্যাপারে আমরা কারও কণ্ঠরোধ করি না।”
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না, সেক্ষেত্রে সহিংসতার আশঙ্কা রয়েছে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমি মনে করি নির্বাচনে বিএনপি আসবে। বাংলাদেশে সরকার বদল করতে হলে নির্বাচনে আসতে হবে। নির্বাচন ছাড়া বাংলাদেশে সরকার বদলের কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচনে তাদের আসতে হবে, আমরা সেটাই মনে করি। সংবিধানের বাইরে গিয়ে কোনো সুযোগ নাই। এমন আলোচনা সংবিধানের বাইরে গিয়ে সম্ভব নয়।”