রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে স্বাভাবিক হয়নি সবজি সরবরাহ। তাই এখনো অস্থির নিত্যপণ্যের এই বাজার। এ ক্ষেত্রে বৃষ্টির কারণে সবজি পচে যাওয়াকে দায়ী করছেন বিক্রেতারা।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) যাওয়া হয় বাজারের সবজির দোকানগুলোতে। এ সময় দেখা যায়, পটোল, ঢেঁড়স, কচুরমুখি, মুলা ও শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায় এবং কাঁকরোল, বেগুন ও করলা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এ ছাড়া বাজারে প্রতি কেজি শিম ও কাঁচা মরিচের দাম ১৬০ টাকা এবং টমেটোর দাম ৯০ টাকা।
এদিকে গত শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বাজারে পটোল বিক্রি হয়েছিল ৫০ টাকায়। বেগুন ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, কচুরমুখি ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা। এর মধ্যে কাঁচ মরিচের দাম ছিল ২০০ টাকা। ক্রেতারা বলছেন, সবজির দাম না কমায় দুর্ভোগ থামছে না তাদের।
শাহজালাল নামের এক ক্রেতার সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, “শুক্রবার বাজারে ক্রেতাসমাগম বেশি হয়। বাজারে দামও কম থাকে। কিন্তু কোনো জিনিসের (সবজি) দাম কমেনি। ২০-৩০ টাকার মুলার দাম আজকে ৬০ টাকা। কাঁচা সবজি ও সোনার বাজার এখন একই। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।”
জান্নাতুন নামের আরেক নারী ক্রেতা বলেন, “সবজির দামে এখন ঘেমে যেতে হয়। বাজারে হিসাব করে আসলে নিতে পারি না। অর্ধেক করে নিতে হয়। যেমন-বাড়িতে প্রয়োজন ১ কেজি আলুর। বাজারে এসে নিতে হচ্ছে হাফ কেজি (৫০০ গ্রাম)। খেটে খাওয়া মানুষদের অবস্থা তো আরও খারাপ। বাজারে কবে দাম কমবে?”
বৃষ্টিতে সবজি পচে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে সবজি বিক্রেতা রফিক বলেন, “উত্তরবঙ্গে পানি (বৃষ্টি) বেশি হইছে। অনেক কাঁচা সবজি পচে গেছে। এক সপ্তাহ থেকে বাজারে তেমন সবজি আসছে না। তাই দামটা একটু বাড়তির দিকে। সামনে শীতকাল আসতেছে। সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে দাম কমবে বলে আশা করি।”
কথা হয় সবজি বিক্রেতা শাহবদ্দিনের সঙ্গে। তিন বলেন, “সবজির দাম বেশি হওয়ার কারণে ক্রেতা খুবই। শুক্রবার বাজারে ক্রেতা বেশি হয়। কিন্তু আজকে কম। দাম নিয়ে কাস্টমার (ক্রেতা) মুলামুলি (দর কষাকষি) করে খুব। বাজারে সবজির কম আমদানি হওয়ায় দাম চড়া।”