ঢাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ২, যা গত ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৪ সালে ঢাকার তাপমাত্রা উঠেছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রিতে। কয়েক দিন ধরে প্রতিদিনই ১ থেকে ২ ডিগ্রি করে বাড়ছে তাপমাত্রা।
এদিকে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গত ২৪ ঘণ্টায় উঠেছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ তাপমাত্রাও গত ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০১৪ সালে চুয়াডাঙ্গায় উঠেছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর আর এত তাপমাত্রা ওঠেনি।
তাপমাত্রা এই হারে বাড়তে থাকলে আগামী কয়েক দিনে তা অতীতের সব রেকর্ড অতিক্রম করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
তাপপ্রবাহের বিষয়ে বলা হয়, খুলনা বিভাগসহ ঢাকা, ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা ও পটুয়াখালী জেলাগুলোর ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দেশের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত। থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, ঢাকা ছাড়া রংপুরের আজকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ৬, রাজশাহীতে ৪০ দশমিক ৬, সিলেটে ৩৬ দশমিক ২, ময়মনসিংহে ৩৭ দশমিক ৫, চট্টগ্রামে ৩৭ দশমিক ৭, খুলনায় ৪০ দশমিক ৫ এবং বরিশালে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যার প্রায় সব কটি চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ জানান, ২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিলে ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছিল। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়, ৩৮ ডিগ্রি হলে বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ আর ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে বলা হয় তীব্র তাপপ্রবাহ।
বজলুর রশীদ জানান, এ হিসেবে দেশের ১১ অঞ্চলের ওপর দিয়ে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। আর ১৮ অঞ্চলে বইছে মাঝারি থেকে তীব্রের কাছাকাছি তাপপ্রবাহ। সবচেয়ে কম তাপপ্রবাহের এলাকায়ও বইছে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। রংপুরের ডিমলা ও রাজার হাটের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।