আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ তৃণমূল থেকে মত নিয়ে মনোনয়ন বোর্ড ও প্রার্থী নির্বাচিত করবে।’
শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মাঝে ফরম বিক্রির কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ-৩ আসনে মনোনয়ন ফরম কেনার মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের সংবিধান মেনে চলে। আটটি বিভাগে দশটি নির্বাচনী ফরম সংরক্ষণের বুথ তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। ঢাকা আর চট্টগ্রামে দুটি বুথ থাকবে। আমরা বোর্ড আর তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে প্রার্থী নির্বাচন করব।
শেখ হাসিনা বলেন, যে সমস্ত দল নির্বাচনে আসার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদের সাধুবাদ জানাই, ধন্যবাদ জানাই। আর যাদের মানুষের ওপর আস্থা নেই, বিশ্বাস নেই, দল হিসেবে সুসংগঠিত না, তারাই নির্বাচন বানচালের একটা চেষ্টা করে যাচ্ছে।
সরকারপ্রধান বলেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। ইতোমধ্যে তফসিল ঘোষণা হয়ে গেছে। জনগণের ওপর যাদের আস্থা নেই তারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। তবে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা যারা করবে তাদের পরিণতি ভালো হবে না। নির্বাচন বানচালে যারা যড়যন্ত্র করতে তাদের প্রতিহত করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধুকন্যা।
নির্বাচন নিয়ে প্রধান দুই রাজনৈতিক শিবিরে মতানৈক্যের মধ্যেই গত বুধবার সন্ধ্যায় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। নির্বাচনের জন্য আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটের তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, এ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত, তা বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। তার তিন সপ্তাহ পর হবে ভোটগ্রহণ।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ হবে। সেক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র জমার জন্য ১৪ দিন সময় দেওয়া হয়েছে এবং প্রচারের জন্য ১৯ দিন সময় রয়েছে। ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রচার শেষ করতে হয়। অর্থাৎ ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালানোর সুযোগ থাকবে।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে স্বাগত জানানো হলেও তফসিল প্রত্যাখ্যান করে বিএনপির পক্ষ থেকে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। সেজন্য বিএনপির পক্ষ থেকে নতুন করে দুই দিনের হরতাল ডাকা হয়েছে।