• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

স্মার্ট কার্ডে রূপান্তরিত হবে টিসিবির কার্ড : বাণিজ্যমন্ত্রী


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: এপ্রিল ৩, ২০২৩, ০৩:৪৮ পিএম
স্মার্ট কার্ডে রূপান্তরিত হবে টিসিবির কার্ড : বাণিজ্যমন্ত্রী

নিম্ন আয়ের মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের লক্ষ্যে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবির দেওয়া এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডকে স্মার্ট কার্ডে রূপান্তরের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

সোমবার (৩ এপ্রিল) রাজধানীর উত্তরায় টিসিবির পণ বিক্রয় কার্যক্রম এবং উত্তরা এলাকায় টিসিবি পণ্যের অস্থায়ী সংরক্ষণাগারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, নারায়ণগঞ্জ এবং বরিশালে টিসিটির কার্ড স্মার্ট কার্ডে রূপান্তরের পাইলটিং কাজ সম্পন্ন হয়েছে। হাতে লেখা সব কার্ড কিউআর কোডসংবলিত স্মার্ট কার্ডে রূপান্তর করা হবে। যার কাজ চলমান। এসব কার্ড স্মার্ট কার্ডে পরিবর্তিত করলে অসংগতিগুলো দূর করা সহজ হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা সবাই জানি, করোনা মহাসংকটের পরপরই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে সারা বিশ্বে দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। তা সত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরিব মানুষদের মধ্যে কম মূল্যে পণ্য সরবরাহ অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। বিশ্বের উন্নতসহ অনেক দেশে খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও সরবরাহে হিমশিম খাচ্ছে। নির্দিষ্ট পরিমাণ পণ্যের বেশি ক্রেতাদের দেওয়া হচ্ছে না। বিশ্ববাজার বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রীর যুগান্তকারী নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে।”

মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় টিসিবির মাধ্যমে দেশের এক কোটি পরিবারের মাঝে স্বল্প মূল্যে পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রতি মাসে একবার দিলেও পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে দ্বিতীয়বার দেওয়া হচ্ছে এবং আগামী ১৫ তারিখের মধ্যে বিতরণ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, শেখ হাসিনা দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করেন তাদের দুঃখ কষ্ট অনুভব করেন। সে জন্যই তিনি এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী অর্থাৎ প্রতি পরিবারে গড়ে পাঁচজন সদস্য হলেও প্রাই পাঁচ কোটি মানুষ এই সুবিধার আওতায় নিয়ে এসেছেন। আমরা প্রাথমিকভাবে ৫০ লাখ মানুষকে সাশ্রয়ী দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তা এক কোটি করার নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা তা বাস্তবায়ন করছি।”

নিত্যপণ্যের মজুতের বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “আমাদের যথেষ্ট পরিমাণে পণ্য মজুত আছে। কয়েক বছরের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে এ বছর আমরা সরবরাহ ও বিতরণে শক্ত অবস্থানে আছি। কোনো একটি পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেলে সবাই প্রশ্ন তোলেন। অথচ মূল্য যখন কমে তখন কেউ আর কিছু বলেন না। সমালোচনার পাশাপাশি ভালো কাজের প্রশংসা করাও উচিত। এতে ধরে দায়িত্ব পালনে উৎসাহ পাওয়া যায়।”

Link copied!