• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

‘লাল হলে নেবেন, লাল না হলে রেখে যাবেন’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১, ২০২৪, ০৩:৫৭ পিএম
‘লাল হলে নেবেন, লাল না হলে রেখে যাবেন’

দোকানের সামনে এবং পেছনে বেশ বড় বড় অক্ষরে লেখা ‘এখানে ন্যায্য দামে তরমুজ বিক্রি হয়’। তার ঠিক একটু নিচে লেখা, ‘তরমুজ লাল হলে নিবেন, সাদা হলে রেখে যাবেন।’ এমন গ্যারান্টি দিয়ে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে দোকানটিতে।

দেশের বাজারে তরমুজ নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়াতে তরমুজ বয়কটের ডাকও উঠেছিল। আবার, পিস হিসেবে কিনে কেজি দরে বিক্রি প্রসঙ্গে সমালোচনা তো রয়েছেই।

রোববার (১ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দেখা মিলেছে এ দৃশ্যের। সরেজমিনে দেখা যায়, বিক্রেতা তার তরমুজ বিক্রি করতে বেশ হাঁক-ডাক দিয়ে ক্রেতাকে ডাকছেন। ব্যবসার সুবিধার্থে বিক্রেতা মেমোরি কার্ডে রেকর্ড করে মাইকে বাজাচ্ছেন, “৬০০ টাকার তরমুজ ৩৫০ টাকা। দেখে নিন, কেটে নিন। ভালো হলে নেবেন, না হলে রেখে যাবেন।”

বিক্রেতার হাঁক-ডাকে ক্রেতারা তরমুজ কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন। নিজের পছন্দ মতো তরমুজ বেছে বিক্রেতাকে বলছেন কেটে দেখাতে। লাল হলে ক্রেতারা নিয়ে যাচ্ছেন। আর লাল না হলে অন্য আরেকটি তরমুজ কেটে দেখতে চাচ্ছেন। এরপর সেটি লাল হলে কিনে নিচ্ছেন।

দাম নির্ধারণ করা হলেও, কিছু ক্রেতা আবার এরই মধ্যে দর কষাকষি করতেও দেখা গেছে।
এই তরমুজ বিক্রেতার নাম সেলিম হাসান। সেলিম জানিয়েছেন, ক্রেতা যাতে তরমুজ কিনে না ঠকে, তাই তরমুজ এভাবে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। অপরদিকে ক্রেতারা এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

সিফা নামের এক ক্রেতাকে পাওয়া যায় দোকানটিতে। তিনি বলেন, “অনেক বিক্রেতা আছেন যারা ক্রেতার ব্যাগে তরমুজ গছিয়ে দিতে পারলেই বেঁচে যান। কিন্তু তিনি (সেলিম) এটা করেননি। ক্রেতা তার পছন্দ মতো অল্প দামে অনেক বড় তরমুজ কিনতে পারছেন। রমজান শুরুর দিকে তরমুজ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় কিনতে হয়েছে। বিক্রেতার এমন উদ্যোগ আমার অনেক ভালো লেগেছে।”

দুলাল হোসেন নামের আরেক ক্রেতা বলেন, “লাল হলে নিবেন, না হলে নিবেন না—এটাই আমার সব থেকে ভালো লেগেছে। ক্রেতারা এতে ঠকবে না। সব ব্যবসায়ী যদি এমন হয় তবে তো ক্রেতারা একটু ভালো খেতে পারে। তাছাড়া পিস হিসাবেও এখানে বিক্রি হচ্ছে।”

সোলায়মান নামের আরেক ক্রেতা বলেন, “তরমুজ এবার রোজার শুরু থেকে বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। এখন বর্তমানে একটু কম। তবে এই ব্যবসায়ী যেভাবে বিক্রি করছে, তা অনেক ভালো।”

তরমুজ ব্যবসায়ী সেলিম বলেন, “অনেকেই তরমুজ বাড়ি নিয়ে গিয়ে ভালো পান না। তাই এভাবে তরমুজ বিক্রি করছি। এতে মানুষ ঠকবে না। তাছাড়া এখানে পিস হিসেবেই বিক্রি করছি।”
 

Link copied!