• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

র‌্যাব পরিচয়ে ছিনতাইয়ের চেষ্টা, পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২৩, ০৭:২৭ পিএম
র‌্যাব পরিচয়ে ছিনতাইয়ের চেষ্টা, পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার

ঢাকার মহাখালী ফ্লাইওভারে ছিনতাইচেষ্টার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) রাত সোয়া ২টার দিকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। মধ্যরাতে ওই ঘটনার সময় যমুনা টিভির একটি গাড়ি সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় তার দৃশ্য ধারণ করে। শনিবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মিয়া।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন র‌্যাব সদস্য মো. মুমিনুল এবং তার গাড়িচালক ও এক আত্মীয়।

বনানী থানার ওসি নূরে আজম মিয়া বলেন, শুক্রবার রাতে মহাখালী ফ্লাইওভার থেকে র‍্যাব সদস্য পরিচয়ে দুই ব্যক্তিকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। মামলা নম্বর ২১। মামলার বাদী শহিদুল ইসলাম এ ঘটনার একজন ভুক্তভোগী। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে মুমিনুল নিজেকে র‍্যাব সদস্য পরিচয় দিয়েছেন। তার পরিচয় আমরা যাচাই-বাছাই করে দেখছি। গ্রেপ্তার হওয়া বাকি দুজনের মধ্যে একজন গাড়িচালক এবং অপরজন মুমিনুলের আত্মীয়।

যমুনা টিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, রাত সোয়া ২টার দিকে তাদের গাড়িটি মহাখালী ফ্লাইওভার দিয়ে যাওয়ার সময় সেটিকে থামতে বলেন জড়ো হওয়া লোকজন। সেখানেই দেখা মেলে হ্যান্ডকাফ পরিহিত দুই ব্যক্তির। একজনের নাম শহীদুল ইসলাম, অন্যজনের রিয়াজ। সম্পর্কে তারা মামা-ভাগ্নে।

তাদের অভিযোগ, বিমানবন্দর এলাকা থেকে গাড়ি ভাড়া করে যাচ্ছিলেন তারা। ফ্লাইওভারে উঠতেই তাদের গাড়ির গতিরোধ করে পেছন থেকে আসা আরেকটি গাড়ি। আরোহী চার ব্যক্তি র‍্যাব পরিচয়ে অস্ত্র দেখিয়ে তুলে নিয়ে যেতে চেয়েছিল তাদের। একপর্যায়ে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে করে মারধর। সন্দেহ হওয়ায় চিৎকার শুরু করেন ভুক্তভোগীরা।

ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসায় যুক্ত শহীদুল যমুনা টিভিকে বলেন, “ওরা আমাদের গাড়ি থামিয়ে জানালা দিয়ে পিস্তল ধরে। গাড়ি থেকে বের হওয়ার পর বলে, আমরা সোনা চোরাচালানকারী। আমরা বলি, ‘আমাদের চেক করে দেখেন।’ তখন আমাদের মারধর শুরু করে। বলে, ‘গুলি করে মেরে ফেলব’। তারপর হাতে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে দেয়। এ সময় আমরা চিৎকার শুরু করি।”

তাদের চিৎকার শুনে এক ব্যক্তি গাড়ি থামিয়ে পরিস্থিতি দেখে ৯৯৯-এ কল করেন। আর তখন সে পথ দিয়ে মোটরসাইকেলে বাসায় ফিরছিলেন এক পুলিশ সদস্য, হট্টগোল দেখে তিনি এগিয়ে আসেন ভুক্তভোগীদের সহায়তায়।

Link copied!