• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৭ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বৃষ্টি ও ঠান্ডায় কাবু ছিন্নমূল মানুষ


বিজন কুমার
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০২৩, ০৭:৫৮ পিএম
বৃষ্টি ও ঠান্ডায় কাবু ছিন্নমূল মানুষ
অগ্রহায়ণের বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েছেন রাজধানীবাসী। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউমের’ প্রভাবে ঢাকাসহ সারা দেশে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবারও বৃষ্টির এ ধারা অব্যাহত থাকবে। এদিকে অসময়ের বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েছেন রাজধানীবাসী। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন ছিন্নমূল ও স্বল্প আয়ের মানুষ।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর টিসিবি ভবনের সামনের ফুটপাতে দেখা গেল চাদর মুড়ি দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন সালেখা বেগম নামের এক নারী। বয়স ৫০ ছুঁই ছুঁই। বৃষ্টিতে ভিজে গেছে তার বিছানা। তার ফুটপাতের সংসারে আজ করা সম্ভব হয়নি রান্নার আয়োজনও।

সালেখা বেগম সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “এই ফুটপাতেই স্বামী সন্তান নিয়া থাকি। শীতের সাথে সাথে আমাগো চিন্তা বাড়তাছে। আইজকা অতিরিক্ত শীত। তার ওপর সকাল থাইক্যা বৃষ্টি। কিচ্ছু একটা পাই না বাবা যে রান্না করমু। খাইবারও পারতাছি না।”

জাহানারা বেগম নামের আরেকজনকে পাওয়া গেল কারওয়ান বাজারে। বৃষ্টি কারণে তারও আয়ের পথ বন্ধ। এই নারী বলেন, “শরীরটাতে জ্বর। বৃষ্টিতে কাঁপুনি বাড়ছে। একটা কম্বল আছিল, তয় পাতলা হইয়া গেছে। আজকে তরকারি পাই নাই। এর লাইগ্যা, বিক্রিও করতে পারি নাই। রেল লাইনের ধারে থাকি। কিভাবে শীত যাইবো বেশি ঠান্ডা হইলে। হেই চিন্তায় বাঁচি না।”

রিকশাচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, “ঠান্ডার কারণে শরীরটাতে শীত শীত লাগে। এবার শীত কেমন হবে? জানি না। তবে শীত বেশি হলে লোকজন কম বের হয়। এতে আয় বেশি হয় না। তখন পরিবার নিয়ে কষ্টের মধ্যে পড়তে হয়। এমনিতেই বাজারে সব জিনিসের দাম বাড়তি।”

পানবিক্রেতা সাখওয়াত বলেন, “শীতে লোকজন টুকটাক হয়। শীতে সকালে যখন বেম (ব্যায়াম) করতে বের হয় তখন একটু বিক্রি হয়। তাছাড়া সারা দিনে বেশি একটা হয় না। বৃষ্টি হচ্ছে আজকে বিক্রিও কম। তারপরে অবরোধ তো মারে ফেলছে।”

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, রাজধানীতে দুই দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে ৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বৃষ্টিপাত রেকর্ড ১০ মিলিমিটার। একই দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা রংপুরের তেঁতুলিয়া ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় যশোরে ২৬ মিলিমিটার।

Link copied!