বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একতরফাভাবে অনুষ্ঠিত করে আবারও রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করার পাঁয়তারা শুরু করেছে আওয়ামী সরকার। এই হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার লক্ষ্যে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের কারান্তরীণ করার ঘৃণ্য খেলায় মেতে উঠেছে তারা। বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করতেই ফ্যাসিস্ট শাসকগোষ্ঠী জাতীয় নেতাদের ধারাবাহিকভাবে গ্রেপ্তার করে যাচ্ছে। শুধু তা–ই নয়, সরকার আদালতের মাধ্যমে বিএনপির গ্রেপ্তার হওয়া জ্যেষ্ঠ নেতাদের ৮ থেকে ১০ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে অকথ্য নির্যাতন করা হচ্ছে।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, বর্তমান শাসকগোষ্ঠী বিএনপির নেতৃত্বে চলমান অবরোধ কর্মসূচিতে ভীত হয়ে পড়েছে বলেই হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে। সরকার ভাবছে, এভাবে গ্রেপ্তার, রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন এবং জুলুম চালালে বিএনপির আন্দোলন স্তব্ধ হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, সরকারের উদ্দেশে বলতে চাই, বিএনপি দেশের বৃহৎ এবং জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল, এই দলটির সঙ্গে জনগণ রয়েছে, কাজেই আন্দোলন দমানোর জন্য সরকারের কোনো কৌশলই সফল হবে না। বিএনপির নেতৃত্বকেও দুর্বল করা যাবে না। কারাগারের বাইরে থাকা বিএনপির সর্বশেষ ব্যক্তিটি আন্দোলনের নেতৃত্ব দেবে। আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারের পদত্যাগসহ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে জনগণ সংকল্পবদ্ধ। আর অচিরেই এ অবৈধ সরকারের পতন হবে।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার জোর দাবি জানান বিএনপির এই নেতা।
