• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫

মির্জা ফখরুল একজন ‘প্যাথলজিক্যাল লায়ার’ : হানিফ


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৩, ০৩:২৮ পিএম
মির্জা ফখরুল একজন ‘প্যাথলজিক্যাল লায়ার’ : হানিফ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, “বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একজন ‘প্যাথলজিক্যাল লায়ার’। সোমবার (২১ আগস্ট) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে, তারা নাকি এর সঙ্গে জড়িত নয়। তার এই কথা শুনে আমি অবাক হয়ে গেলাম। অথচ এই মির্জা ফখরুল সাহেব নাকি আগে শিক্ষক ছিলেন।”

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত আলোচনা সভায় আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সন্ত্রাস-মৌলবাদ-জঙ্গিবাদের অভয়াশ্রম বিএনপি-জামায়াতের নির্দেশে ২১ আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলা দিবস স্মরণে ছাত্রলীগ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল ইসলামের সমালোচনা করে মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, “মির্জা ফখরুল কোথায় শিক্ষক ছিলেন, আমি তা জানি না। একজন শিক্ষক এত নির্লজ্জ মিথ্যাবাদী হতে পারে, আমি তা আগে কখনো দেখি নাই। উনি একটা মিথ্যাবাদী, চরম মিথ্যাবাদী। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, বিএনপির রাজনীতিটাই মিথ্যাচারে ভরে করে আছে।”

হানিফ বলেন, “১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে একই সূত্রে গাঁথা ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট। এটা পৃথিবীর ইতিহাসে আরেকটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। বাঙালি জাতির জন্য এটি একটি কলঙ্কময় দিন। এই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল রাষ্ট্রীয় যন্ত্র ব্যবহার করে একটি রাজনৈতিক দলকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য। সেসময় বিরোধী দলীয় নেত্রী ছিলেন শেখ হাসিনা। একটা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ছিল, প্রতিবাদী সমাবেশ ছিল না। এরপরেও সেখানে হামলা করা হয়।”

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, “২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত নেতাকর্মীদের হাসপাতালের নিয়ে যাওয়ার বিষয়েও নানা টালবাহানা করা হয়েছে। বিভিন্ন ক্লিনিকে আহতদের চিকিৎসা করতে হয়েছে। বেগম আইভি রহমানকে সিএমএইচ-এ ভর্তি নেবে না, অনেক টালবাহানা করা হয়েছে। ভর্তির পর সেখানে শেখ হাসিনা দেখতে যাবেন, কিন্তু তাকে গেইটে আটকে দেওয়া হয়। গাড়ি ঢুকতে দেবে না। এরপর নেত্রী পাঁচ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে সিএমএইচ এ গিয়েছিলেন। কতটা পৈশাচিক হলে এই রকম কর্মকাণ্ড করতে পারে।”

হানিফ আরও বলেন, “আহতরা যখন মুমূর্ষু অবস্থায় তখন নাটক করার জন্য দেখতে গেলেন বেগম খালেদা জিয়া। তখন আইভি রহমানের ছেলে-মেয়েকে পাশের রুমে আটকে রাখা হয় প্রায় ৩ ঘণ্টা। কী নিষ্ঠুর আচরণ ছিল। শুধু তাই নয়, সংসদে বসে খালেদা জিয়া বলেন, শেখ হাসিনাকে কে মারতে যাবে? উনি নিজে ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে গেছে। কী নিষ্ঠুর রসিকতা ছিল এটা।”

Link copied!