• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫
এমপি আজীম খুন

শিলাস্তিদের গ্রামে গিয়ে যা জানা গেল


টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২৪, ০৬:৫৬ পিএম
শিলাস্তিদের গ্রামে গিয়ে যা জানা গেল
শিলাস্তি রহমান ওরফে সেলে নিস্কি। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের কলকাতায় নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন ঝিনাইদহ-৪ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। সেই খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে আদালতের আদেশে রিমান্ডে রয়েছেন শিলাস্তি রহমান ওরফে সেলে নিস্কি নামের এক তরুণী। যিনি হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী আখতারুজ্জামান শাহীনের বান্ধবী হিসেবে পরিচিত।

শিলাস্তির গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ধুবুড়িয়া ইউনিয়নের পাইসানায়। নাগরপুর সদর থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দক্ষিণে গ্রামটি। সেই গ্রামে গিয়ে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। শিলাস্তির পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি।

এলাকায় শিলাস্তিদের বাড়িটি ‘মিয়া বাড়ি’ হিসেবে পরিচিত। সেই বাড়ির কাপড় ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলামের বড় মেয়ে হলেন শিলাস্তি রহমান। এলাকাবাসী জানালেন, আরিফুল সপরিবার ঢাকার উত্তরায় থাকেন। বছরে দু-একবার গ্রামে আসেন। তবে বাড়িতে খুব কম সময় থাতেন।

শিলাস্তিদের টিনের বাড়িতে তালা। ছবি: সংগৃহীত

পাশেই এক বাড়িতে বসবাস করেন শিলাস্তির দাদা (বাবার চাচা) সেলিম মিয়া। তিনি জানালেন, দুই বোনের মধ্যে শিলাস্তি বড়। তার জন্ম ঢাকায়। উত্তরা এলাকায় বসবাস করে। তবে কোন সেক্টরে তা জানেন না সেলিম মিয়া।

এমপি আজীম হত্যাকাণ্ডে তার নাতনি জড়িত থাকার বিষয় তিনি শুনেছেন। সেলিম মিয়া বললেন, “নাতনি যদি এমপি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকে, তা যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে তার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।”

এলাকাবাসীও মেয়েটির গ্রেপ্তারের বিষয়টি জেনেছেন। মিয়াবাড়িতে ঢুকে দেখা গেল, শিলাস্তিদের একটা টিনের ঘর। সে ঘরটিতে তালা ঝুলছে। পাশেই তাদের দোতলা একটি নির্মাণাধীন বাড়ি। বাড়িটির দরজা-জানালার কাজ শেষ হয়েছে। তবে ভেতরে কোনো আসবাব নেই।

প্রসঙ্গত, এমপি আনার গত ১২ মে কলকাতায় গিয়ে বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাসায় ওঠেন। পরদিন বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ ছিলেন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জানতে পারেন, কলকাতার নিউ টাউনের অভিজাত আবাসিক এলাকার সঞ্জিভা গার্ডেনসের ফ্ল্যাটে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

শিলাস্তি রহমান ওরফে সেলে নিস্কি।

সিসিটিভি ফুটেজে বড় ট্রলি ও প্লাস্টিক ব্যাগ হাতে ওই ফ্ল্যাট থেকে দুইজনকে বের হতে দেখা যায়। যাদের একজন সৈয়দ আমানুল্লাহ পরিচয় দেওয়া চরমপন্থী শিমুল ভূঁইয়া ও অন্যজন শিলাস্তি রহমান। তদন্তসংশ্লিষ্টদের ধারণা, সেসব ট্রলি ও প্লাস্টিক ব্যাগেই এমপি আজীমের খণ্ডিত মরদেহ সরানো হয়ে থাকতে পারে।

সেই ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তথ্যের ভিত্তিতে শিলাস্তি রহমানসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ। এমপি আজীমকে অপহরণের অভিযোগে শেরেবাংলা নগর থানায় করা মামলায় শিলাস্তি রহমানসহ আটককৃতদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। একই মামলায় তিনজনকে আট দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

Link copied!