• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

‘উচিত শিক্ষা’ দিতে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে প্রেমিকাকে হত্যা


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৩, ০৩:৪৪ পিএম
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে প্রেমিকাকে হত্যা

মুন্সিগঞ্জের কোর্টগাঁও এলাকায় স্কুলে পড়ার সময় আদিবা আক্তারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে বিজয় রহমানের (১৯)। বিজয়ও একই স্কুলে পড়তেন। এই সম্পর্ক চলাকালীন গত বছরের জানুয়ারিতে জেসিকা মাহমুদ জেসি নামের এক স্কুলছাত্রীর সঙ্গে প্রেম শুরু করেন বিজয়। এরপর দুজনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক বজায় রাখেন তিনি। একপর্যায়ে আদিবাকে গোপনে বিয়ে করেন বিজয়।

বিয়ের বিষয়টি জেনে জেসিকা তার সঙ্গে বিজয়ের মেসেঞ্জারে বার্তা আদান–প্রদানের স্ক্রিনশট আদিবাকে পাঠান। এ নিয়ে আদিবার সঙ্গে বিজয়ের ঝগড়া হয়। দুজন মিলে পরিকল্পনা করেন জেসিকাকে হত্যা করবেন।

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর ওয়ারী থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বিজয়কে। এর আগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন আদিবা।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, বিজয় ও তার স্ত্রী আদিবা মিলে ১ জানুয়ারি জেসিকাকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ৩ জানুয়ারি জেসিকার বাসায় যান আবিদা। নিজেদের মধ্যে ঝামেলা মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলে জেসিকাকে বিজয়ের বাসার ছাদে ডেকে নেন আদিবা।

সেখানে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে বিজয় ও আদিবা মিলে জেসিকাকে শ্বাস রোধ করে হত্যার চেষ্টা চালান। একপর্যায়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে দুজন মিলে জেসিকাকে ছাদ থেকে ফেলে দেন। পরে নিজেরাই আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

খন্দকার আল মঈন বলেন, জেসিকা হাসপাতালে মারা গেলে সেখান থেকে পালিয়ে যান বিজয় ও আদিবা। জেসিকার ভাই হাসপাতালে এসে চিকিৎসকের কাছ থেকে জানতে পারেন, তার বোনকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। পরে তিনি বাদী হয়ে বিজয় ও আদিবাকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ঘটনার পরদিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আদিবাকে গ্রেপ্তার করেন। তিনি এখন কারাগারে। আর বিজয় ঘটনার পর মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান এলাকায় এক বন্ধুর বাসায় চার দিন আত্মগোপনে থাকেন। সেখানে নিরাপদ মনে না করায় ফরিদপুরের একটি মাজারে গিয়ে ২২ দিন ছদ্মবেশে আত্মগোপন করেন। গ্রেপ্তার এড়াতে সেখান থেকে ওয়ারীতে এলে র‍্যাব তাকে গ্রেপ্তার করে।

Link copied!