চাল চকচকে করতে বছরে প্রায় ১৭ লাখ মেট্রিক টন ঘাটতি হয়। এ ঘাটতি কমাতে জনগণকে চকচকে চাল বর্জন করে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন চাল খাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘বাংলাদেশে ফোর্টিফাইড চালের বাণিজ্যিক যাত্রা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, “চাল চকচকে করতে গিয়ে বাজারে চালের ঘাটতি হয়। আবার চাল হয়ে যায় পুষ্টিহীন। কিন্তু মানুষ পুষ্টিহীন সিল্কি চাল খেতেই পছন্দ করছে। এর ফলে বাড়ছে পুষ্টিহীনতা। চকচকে চাল না খেতে সচেতনতা বাড়াতে হবে।”
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “সাধারণ মানুষ যাতে বাজার থেকে পুষ্টি সম্পন্ন চাল কিনতে পারে সেজন্য উৎপাদন ও বাজারজাত করার জন্য বেসরকারিভাবে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও চালকল মালিকদের উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন। তাদের উদ্যোগ ও বিনিয়োগ ছাড়া ভোক্তা পর্যায়ে এ চাল সহজলভ্য করা সম্ভব হবে না।”
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বাংলাদেশ সরকার পুষ্টিনিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা থেকে শুরু করে আরও যে নীতিগুলো রয়েছে, তার সবগুলোতেই পুষ্টি নিশ্চিত করা বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।