• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

সংসদের পাঁচ আসন শূন্য হয়ে গেছে : স্পিকার


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০২২, ০২:৪৩ পিএম
সংসদের পাঁচ আসন শূন্য হয়ে গেছে : স্পিকার
ফাইল ফটো

একাদশ জাতীয় সংসদ থেকে বিএনপির ৭ সংসদ সদস্য (এমপি) পদত্যাগ করেছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজন সশরীরে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তাই সংবিধানের ৬৭(২) অনুযায়ী ওই সংসদ সদস্যদের আসনগুলো শূন্য হয়ে গেছে।

রোববার (১১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ২০ মিনিটে সংসদ ভবনে স্পিকারের দপ্তরে যান বিএনপির সংসদ সদস্যরা। তারা পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর গণমাধ্যমকর্মীদের শিরীন শারমিন চৌধুরী এ তথ্য জানান।

এ বিষয়ে শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, “তারা (বিএনপির এমপি) স্ব-স্ব স্বাক্ষরযুক্ত সাতজনের আবেদন জমা দিয়েছেন। পাঁচ জন সশরীরে ছিলেন, তাদের আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। সংবিধানের ৬৭(২) অনুযায়ী ওই আসনগুলো শূন্য হয়ে গেছে। বাকী দুইজনের আবেদন যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

স্পিকার বলেন, “বিএনপির সংসদ সদস্যদের মধ্যে আব্দুস সাত্তার অসুস্থ থাকায় সংসদ সচিবালয় তার স্বাক্ষর মিলিয়ে দেখবে ও কথা বলবে। সব ঠিক থাকলে তার আবেদনও গৃহীত হবে। তবে ই-মেইলের মাধ্যমে দেওয়ায় হারুনুর রশীদের আবেদন গ্রহণ হবে না, তাকে পরে এসে জমা দিতে হবে।“

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, “আসন শূন্য হওয়ার গেজেট প্রকাশের পর তাদের কাছে পাঠানো হবে। সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হবে।

আসন শূন্য হলে ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন হবে জানিয়ে স্পিকার বলেন, “আসন শূন্যের এখন গেজেট হবে। পরে অধিবেশন যখন বসবে সেখানেও জানানো হবে।”

এর আগে রোববার বেলা ১১টা ২০ মিনিটে সংসদ ভবনে স্পিকারের দপ্তরে যান বিএনপির সংসদ সদস্যরা।

একাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত বিএনপির সাত সদস্যরা হলেন—

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উকিল আবদুস সাত্তার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের হারুন-অর-রশিদ, বগুড়া-৬ আসনের গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, বগুড়া-৪ আসনের মোশাররফ হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের আমিনুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের জাহিদুর রহমান জাহিদ ও সংরক্ষিত নারী আসনের ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট থেকে আটজন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর মধ্যে বিএনপির ছয়জন এবং গণফোরামের দুইজন।

বিএনপির ছয়জনের মধ্যে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও ছিলেন। তবে তিনি নির্ধারিত সময়ে শপথ না নেওয়ায় তার আসনে উপনির্বাচন হয় এবং সেখানে বিএনপির আরেক প্রার্থী জয়ী হন। এরপর সংরক্ষিত আসন থেকে রুমিন ফারহানা এমপি হলে বিএনপির সংসদ সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় সাতজনে।

Link copied!