বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিশ্চয়ই কোনো অপরাধ করেছেন, তা না হলে কারান্তরীণ হওয়ার আশঙ্কা কেন প্রকাশ করবেন? এমন প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এই প্রশ্ন রাখেন।
দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, “মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ গণমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্যে তার কারান্তরীণ হওয়ার আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন। তিনি নিশ্চয়ই কোনো অপরাধ করেছেন, তা না হলে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করবেন কেন?”
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “নিজের অপরাধ ঢাকতে বা বিচার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে এবং সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে তিনি গণমাধ্যমের সামনে অমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। সরকার বিনা দোষে নিরপরাধ কাউকে আটক রাখে না বা সেটা রাখার এখতিয়ারও সরকারের নেই। সরকার নির্দোষ কাউকে কোনো হররানি করছে না। তবে অপরাধী যে-ই হোক তাকে আইনের আওতায় আসতে হবে। আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান। এখানে কারও সামাজিক বা রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচ্য নয়। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
ওবায়দুল কাদের বলেন, “আওয়ামী লীগ বিরোধীদল-মত দমন কিংবা কোনো ধরনের মামলা-হামলা দিয়ে হয়রানি করে না। সারা দেশে বিএনপি-জামায়াতের যেসব ক্যাডারবাহিনী আগুন দিয়ে শত শত নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করেছে, সন্ত্রাস সৃষ্টি করে দেশের মানুষকে জিম্মি করার অপচেষ্টা চালিয়েছে এবং ফৌজদারি অপরাধ সংঘটন করেছে: আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তাদের অগ্নিসন্ত্রাসে নিহত অসহায় পরিবারের সদস্যদের এবং অগ্নিদগ্ধ যেসব মানুষ এখনও ভয়াবহ যন্ত্রণা ভোগ করছে তাদের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে।”
আগুনসন্ত্রাসী মানবতাবিরোধী খুনিদের মামলার উদাহরণ টেনে মির্জা ফখরুল বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মামলা দিয়ে হয়রানির তথাকথিত অভিযোগ উত্থাপন করে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছেন বলে দাবি করেন ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা।
কাদের আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অর্বাচীনের ন্যায় মিথ্যার ফুলঝুরি ছুটিয়েছেন। তিনি এ ধরনের অসত্য বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে জাতির সঙ্গে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন।”