বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স বাড়াতে সরকার আগেই ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনা দিত। তবে এই প্রণোদনায় প্রবাসী আয়ে খুব একটা বেশি সুবিধা করতে পারেনি। প্রণোদনা কম হওয়ায় বাড়তি লাভের আশায় প্রবাসীরা হুন্ডি ব্যবহারের ফলে দেশে রেমিট্যান্স কম আসতে শুরু করে। তাই বৈধ পথে প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠালে সরকারের দেওয়া চলমান আড়াই শতাংশের সঙ্গে ব্যাংকগুলোর দেওয়া আরও আড়াই শতাংশ মিলে মোট ৫ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ অথরাইজড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা)।
এতে রেমিট্যান্সে প্রতি ডলারের দাম হয়েছে ১১৬ টাকার কিছু বেশি, যা খোলা বাজারের দরের চেয়ে বেশি। পাশাপাশি হুন্ডির প্রায় কাছাকাছি। সার্বিক দিক বিবেচনায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা হুন্ডি (অবৈধ পথ) এড়িয়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে পাঠাচ্ছেন রেমিট্যান্স।
বুধবার (১ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্যমতে, সদ্য সমাপ্ত অক্টোবরে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১৯৭ কোটি ৭৫ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। এই অংক গত তিন মাসের সর্বোচ্চ।
অক্টোবরে দেশে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে, এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৫ কোটি ৪৫ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৫ কোটি ৮২ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৭৫ কোটি ৮৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬০ লাখ মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুসারে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সেপ্টেম্বরে গত সাড়ে ৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স এসেছিল। এ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার এবং আগস্টে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এছাড়া সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ মার্কিন ডলার।
এর আগে বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ হয়েছিল, যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।