• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

জমে উঠেছে এলিফ্যান্ট রোডের জুতার দোকান


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ৩১, ২০২৪, ০২:২০ পিএম
জমে উঠেছে এলিফ্যান্ট রোডের জুতার দোকান
জুতার দোকানে ভিড় করছেন ক্রেতারা। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

আর ১০ দিন পরই ঈদুল ফিতর। ইতিমধ্যে অনেকেরই ঈদের নতুন পোশাক কেনা হয়েছে। নতুন পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে নতুন জুতা ও কসমেটিকস তো কেনা চাই, তাই এখন ভিড় বাড়ছে ওইসব দোকানগুলোয়। 

ঈদকে সামনে রেখে বড় বড় জুতার ব্র্যান্ড নিত্যনতুন নকশার জুতা নিয়ে এসেছে। বাটা, অ্যাপেক্স, ওরিয়ন, বে এম্পিরিয়ামের পাশাপাশি ছোট-বড় সব দোকানগুলোতে নতুন নকশার জুতা নিয়ে এসেছে। কেনাকাটা নিয়ে খুশি বিক্রেতারা। তারা বলছেন, ডলারের দামে বাড়ায় এ বছর জুতার দামও বেড়েছে। রমজানের শেষ সপ্তাহে বিক্রি আরও বাড়বে বলে আশা তাদের।

শনিবার (৩০ মার্চ)  রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের বিভিন্ন জুতার দোকানে ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া যায়। নিত্যনতুন ডিজাইন ও  তুলনামূলক কম দামে জুতা পাওয়া যায় বলে এখানে বেশিরভাগ সময় ভিড় থাকে। এসব দোকান ঘুরে দেখা গেছে, বেশ জোরসোরে চলছে তাদের ব্যবসা। ক্রেতারা আসছেন, দোকানের রাখা জুতাগুলো দেখছেন। পছন্দ হলে দামে মিললে তারা কিনছেন।  

রমজানের শুরুতে এলিফ্যান্ট রোডে জুতার দোকানগুলোতে জমজমাট ছিল না। তবে গত দুই দিন থেকে তাদের দোকানে ক্রেতা সমাগম বেড়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। এ বছর দর কষাকষি থাকলেও জুতা বিক্রি আশানুরূপ হবে বলে প্রত্যাশা তাদের। 

সুমন হোসেন নামের এক জুতা ব্যবসায়ী বলেন, “পোশাকের পরে মানুষের প্রয়োজন জুতা। ১৫ রমজান থেকে তেমন ছিল না। গত দুইদিন থেকে ক্রেতা মোটামুটি আসছে। নতুন নতুন সব মডেলের জুতা এসেছে এ বছর। ক্রেতারা আসছেন পছন্দ হচ্ছে সবার। হয়তো দুই একজন ক্রেতা চলে যাচ্ছেন, দামে না মেলার কারণে। আশা করছি ক্রেতা ঈদের পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত থাকবে।”

তানভির ইসলাম নামের আরেক জুতা ব্যবসায়ী বলেন, “ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে এ বছর জুতার প্রকারভেদে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা বাড়ছে। তাই এ বছর ক্রেতারা অভিযোগ করছেন অনেক বেশি। ক্রেতাদের এ বছর বোঝাতে হচ্ছে বেশি। তাই ক্রেতাদের বুঝিয়ে হলেও লাভ সীমিত রেখে ব্যবসা করতে হচ্ছে।”

জুতা ক্রেতা রাজু বলেন, “এলিফ্যান্ট রোডে জুতা কিনতে হলে দর-দাম করেই কিনতে হয়। নয়তো দোকানি ১ হাজারের জিনিস ৪ হাজার চেয়ে বসেন। গুণগত মানের দিকেও খেয়াল রাখতে হয়। এ বছর জুতা ভালো এসেছে। পাঞ্জাবির সঙ্গে মিল রেখে এক জোড়া জুতা কিনতে এসেছি। দেখি কি হয়?”

মাহবুবুল নামের আরেক জুতা ক্রেতা বলেন, “এ বছর ঈদের মার্কেট করতে বেগ পেতে হচ্ছে। সব জিনিসের দাম তো বাড়ছে, জুতাই বা আটকে থাকবে কেন। অনেক বেশি দর কষাকষি করে কিনতে হচ্ছে এই আরকি!”
 

Link copied!