বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল-অবরোধের প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রলীগ। বুধবার (৮ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে শাহবাগ দিয়ে বাংলামোটর প্রদক্ষিণ করে টিএসসিতে এক সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, “আজকে সন্ত্রাস, সহিংসতা, অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে যারা তারুণ্যের অগ্রযাত্রা যারা রোধ করতে চায়; আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিরাপদ পরিবেশ যারা বিঘ্নিত করতে চায়; আমার আপনার স্বপ্ন নিয়ে যারা ছিনিমিনি খেলতে চায়; যারা অবৈধ অবরোধ ডাকতে চায়; তাদেরকেই অবরুদ্ধ করার জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মাঠে নেমেছে।”
ছাত্রলীগ সভাপতি আরও বলেন, “আজ ঐতিহ্যবাহী মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু করে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ পার হয়ে শাহবাগ প্রদক্ষিণ করে বাংলামোটর থেকে ইউটার্ন নিয়েছি। এরপরও যদি অবরোধ নামের এই প্রহসন চলতে থাকে; শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ককটেল বিস্ফোরণের হুমকি দেওয়া হয়ে থাকে তাহলে বাংলার ছাত্রসমাজ বাংলামোটর থেকে ইউটার্ন না নিয়ে রাইটটার্ন নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র পল্টন ঘেরাও করা হবে। যেখান থেকে অগ্নিসন্ত্রাসের নির্দেশ দেওয়া হবে প্রত্যেকটি অফিস ঘেরাও করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।”
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, “শেখ হাসিনা আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করেছেন। ফেরি ছাড়াই মানুষ অনায়াসে যাতায়াত করছে। আজকে রেললাইন ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে; দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম কর্ণফুলী টানেল তিনি বাস্তবায়ন করেছেন। এরপরও দেশবিরোধী কিছু অপশক্তি দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। খেটে খাওয়া মানুষের রুটি, রুজির পথকে বন্ধ করার জন্য অবৈধ অবরোধের নামে তারা বাসে অগ্নিসংযোগ করছে। যারা আমাদের পুলিশ বাহিনীকে হত্যা করছে তাদের দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে। এই বাংলাদেশ হবে শেখ হাসিনার, আমার ও আপনার বাংলাদেশ।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন বলেন, “পূর্বে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা বিনষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল। জাতির পিতার কন্যা সেই শিক্ষা ব্যবস্থার নতুন রুপ দিয়েছেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে একসময় অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিল। জাতির কন্যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের হাতে কলম তুলে দিয়েছেন।”
শয়ন আরও বলেন, “মানুষ যখন তার প্রয়োজনে গাড়ি নিয়ে বের হয়, সাধারণ শিক্ষার্থীরা যখন ক্লাস পরীক্ষার জন্য বের হয় তখন বিএনপি জামায়াতের সন্ত্রাসী বাহিনী গাড়িতে পেট্রোল দিয়ে অগ্নিসন্ত্রাস করে। ২০১৩, ২০১৪ সালে তারা জনগণের মাঝে ভীতি সঞ্চয় করে ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিল, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছিল। বাংলাদেশের মানুষ জামায়াত, বিএনপি ও শিবিরকে বর্জন করেছে।”
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, “এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্লান্তিকর পরিস্থিতির ভেতর দাঁড়িয়ে আছে। যেখানে নিজের দেশের মানুষ পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে তার দেশের মানুষকে পুড়িয়ে দেয়; যেখানে নিজের রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করার জন্য এক শ্রেণির উল্লুক, যারা পাকিস্তানের প্রেতাত্মা ও দোসর হিসেবে এই দেশের রাষ্ট্রীয় সম্পদে আগুন জ্বালায়, তাদের কাছে দেশ আজ অনিরাপদ। বাংলাদেশের অভিভাবক বাংলাদেশের জনগণ। যারা অবরোধের নামে মানুষ পোড়ায় তাদের হাতে আগুন ধরিয়ে দিতে হবে।”