রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় বিএনপির ৮৪৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। রোববার (২৯ অক্টোবর) থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান এই মামলাটি করেন।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ককটেল বিস্ফোরণ ও পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মামলাটি করা হয়। মামলায় এজহারনামীয় আসামি করা হয়েছে মির্জা আব্বাসসহ ৪৯ জনকে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৭০০/৮০০ জনকে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, “নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ শেষে মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা কমলাপুর রেলওয়ে অফিসার্স কোয়ার্টারের সামনে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। তারা জনমনে আতঙ্ক ও ভীতি সৃষ্টি করে বিভিন্ন প্রকার নাশকতামূলক ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম পরিচালনা এবং হত্যাকাণ্ড ঘটানোর উদ্দেশ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। ককটেল বিস্ফোরণ, পুলিশের সরকারি কাজে বাধা প্রদান করে। এ সময় তারা অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়।”
প্রসঙ্গত, সরকার পতনের এক দফা দাবিতে শনিবার (২৮ অক্টোবর) মহাসমাবেশ ছিল বিএনপির। কিন্তু সমাবেশ শুরুর আগেই দুপুরে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষটি বিস্তৃত হয়ে বিএনপির সমাবেশের কাছে চলে আসে এবং একপর্যায়ে ফের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয় এবং পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। পরে নয়াপল্টনের মঞ্চ থেকে হ্যান্ডমাইকে হরতালের ঘোষণা দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ভয়াবহ এই সংঘর্ষে একজন পুলিশ সদস্য ও এক রাজনৈতিক কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ৪১ জন পুলিশ সদস্য ও ২৮ জন সাংবাদিকসহ আরও অনেকে আহত হয়েছেন। পুলিশের হিসাবে, ৫৫টি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকটি পুলিশ বক্স পোড়ানোর পাশাপাশি প্রধান বিচারপতির বাসভবনেও হামলা চালানো হয়।