সহিংসতার জন্য জনগণের ধিক্কার ছাড়া বিএনপির আর কিছুই জুটবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “বিএনপি-জামায়াত জোট, এরা যে সন্ত্রাসী এবং বিএনপি যে একটা সন্ত্রাসী দল এটাই তারা আবার প্রমাণ করলো।”
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বরে) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএফইউজে-২৩ প্রতিনিধি সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মাঝখানে তারা (বিএনপি) কিছুটা রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছিল এবং আপনারা বিশেষভাবে লক্ষ্য করছিলেন, আমাদের সরকার তাদের তেমন কোনো বাধা দেয়নি। তাদের ওপর সবসময় একটাই শর্ত ছিল যে, তারা কোনো রকম অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুর করবে না। তারা যখন সুস্থভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি করছিল, তখন কিন্তু তারা মানুষের আস্থা-বিশ্বাস ধীরে ধীরে অর্জন করতে শুরু করেছিল।”
শেখ হাসিনা আরও বলেন, “কিন্তু গত ২৮ তারিখ (অক্টোবর) তাদের যে ঘটনা, বিএনপি যেসমস্ত ঘটনা ঘটালো, বিশেষ করে যেভাবে পুলিশকে হত্যা করেছে, মাটিতে ফেলে যেভাবে কোপালো, সাংবাদিকদের ওপর হামলা করলো, পেটালো এবং এই ঘটনার পরে জনগণের ধিক্কার ছাড়া বিএনপির আর কিছুই জুটবে না।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়েছে, সেখানেও পুলিশের ওপর আক্রমণ করেছে। আজকে ইসরায়েল ফিলিস্তিনির ওপর যেভাবে হামলা করছে, এখানে হাসপাতালে বোমা হামলা করল, নারী শিশুদের অত্যাচার করেছে, তাদের সবকিছু বন্ধ করে রেখে দিয়েছে, আমি তফাত কিছু দেখতে পারছি না। আমরা এর নিন্দা জানাই।”
সরকারপ্রধান বলেন, “সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে নিজেরাই পালাল, পালিয়ে গিয়ে এখন আবার অবরোধের ডাক। কীসের অবরোধ? কার জন্য অবরোধ? যখন সারা বিশ্ব বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে প্রশংসা করছে তখন তাদের কাজ হলো বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা। বাংলাদেশের এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি করা, দেখাবে বাংলাদেশে কিছু হয়নি। তাদের হামলা শিকার একদিকে পুলিশ, আর হচ্ছে সাংবাদিক। তারা লালমনিরহাটে আমাদের যুবলীগের একজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এভাবে হত্যা করা আর মানুষের সম্পদ নষ্ট করা, আর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করাই তাদের চরিত্র।”